Awesome Heart Touching Love Story in Bengali - Read and Share with Your friends.
Golpo 1
প্রতিশোধ!
দীর্ঘ ৪ বছরের রিলেশন শেষ হয়েছে ফারিহার। তুহিন কে তার লাইফে জড়াতে পারেনি।কারন তার কাছে এ ৪ বছরের রিলেশনের চেয়ে তার বাবার সম্মানটা বড়ো ছিলো। তাই তার বাবার কথামতো সে তুহিনকে ভুলে যায়। শুরু করে পরিবারের মতো করে নতুন করে পথচলা।
ওদিকে তুহিন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল।কি করে ফারিহাকে শেষ করে দেওয়া যায়।
এসিড মেরে,না ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে খুন করে। নির্ঘুম রাত তুহিন এসবই ভাবে। যে আমায় ধোকা দিলো তাকে আমি হাসতে দিবোনা।
ফারিহার কিছু পিক ছিলো তুহিনের কাছে।হুম এগুলা ভাইরাল করে প্রতিশোধ নেওয়ার প্লানও করে তুহিন। এভাবেই ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলো তুহিন।
তুহিন!তুহিন কি ভাবছিস তুই এগুলা? তুই তো নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতি ফারিহাকে। ওর একটু জ্বর হলে সারারায় তুইও নির্ঘুম কাটিয়ে নামাজে বসে কাদতি ওর জন্য। ওর মন খারাপে তোরও মন খারাপ হতো। যার শরীরে একটা পিপড়া কামড় দিলে তুই সে ব্যাথাটাই পেতিস।
তাহলে আজ কি করে ওর এতোবড়ো ক্ষতি করার চিন্তা করিস তুই?কি করে পারিস ওর সুন্দর মায়াবিনী মুখটাকে ঝলসে দিতে!
হ্যা এ কথাগুলো তুহিনের বিবেক বলছে ওকে। আমাদের বিবেক মাঝে মাঝে আমাদের সাথে কথা বলে। কখনো বা ভালো কখনো বা খারাপ।
প্রতিশোধ তো কখনো ভালোবাসা হতে পারেনা। কোন প্রিয়মানুষ আপনাকে ছেড়ে চলে গেলো বলেই কি তাকে শেষ করে দিতে হবে? আচ্ছা আমরা সন্তানরা যখন বাবা মাকে ছেড়ে অন্য এক ছেলেমেয়ের হাত ধরে চলে যাই কই তখন তো বাবা মা আমাদের মেরে ফেলার প্লান করেনা।
কারন তাদের ভালোবাসাগুলো খাটি।আর খাটি ভালোবাসা কোনদিন প্রতিশোধ পরায়ন হয়না।
যে চলে গেছে তাদের জন্য ঠিক আগের মতোই আল্লাহুর কাছে প্রার্থনা করতে পারি যেখানেই থাকুক সে ভালো থাকুক। এতেই ভালোবাসা বিদ্যামান।প্রতিশোধ এ নয়।
Golpo 2
You're reading Heart Touching Love Story in Bengali. I think you'll like our stories.
মনে মনে
ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে খাটে এসে বসলাম। রান্নাঘর থেকে অবন্তীর গলা শোনা যাচ্ছে। কোন কারনে রেগে আছে হয়তো। গামছা দিয়ে মুখ মুছে রান্না ঘরে গেলাম। অবন্তীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতে যাবো তখনই হাতে খুন্তির বারি খেলাম।
- কুত্তা,আরেকবার ধরলে হাত কেটে দিবো
- এ সকাল সকাল কি হলো! তুই তাই করে বলছো কেন?
- তো কি বলবো? ভাল্লাগেনা আর
- কি হয়েছে অবন্তী?
- কিছুনা
- বউ,ও বউ বলো না।
- দেখো নেকামো করবা না। জানো না কি হয়েছে? আর কয়দিন এভাবে চলবো?
- আমার কি করার আছে! বিয়ের আগেই বলেছিলাম আমার চাকরি নেই। তুমি মানলে না। পালিয়ে চলে এলে। তখন তো বলেছিলে এক বেলা ভাত খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারবে।
- ও এখন আমার দোষ সব? থাক তুই। চাকরি পেলেও আমার কাছে আসবি না।
- অবন্তী!
- চুপ
.
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এমন কথা শুনতে ভালো লাগেনা। আলনা থেকে শার্ট নিয়ে বাইরে চলে গেলাম। বিয়ের পর একটু ঝগড়া হলেই এই কাজটাই করতে হয়। বাইরে গেলে ওর কড়া কথা গুলো শুনতে হয়না।
কোথায় যাবো ভেবে পাচ্ছিনা। আনমনে হাঁটছি। কানুর দোকানে যাওয়া যায়। ফ্রি তে কড়া চিনি দিয়ে দুধ চা আর টোস্ট বিস্কিট। এই রোদের মধ্যে চা খাবার মজাই আলাদা। সাথে কানু কাকার ভুতুড়ে গল্প থাকবে।
কানু কাকার দোকানে আজ বসার জায়গা নেই। সবগুলো বেঞ্চ দখলে আছে। ঠাসাঠাসি করে কোণার এক বেঞ্চে বসে পরলাম। কাকাকে অর্ডার দিতে গিয়েও অবাক হয়ে গেলাম। কোন দামি রেস্টুরেন্টেও এতো ভিড় হয়না যতখানি এখানে হয়েছে। অন্যদিন এমন হয়না। তিন বার চা দিতে বলার পর কানু কাকা বলল "এখন কউ তুমার কি?" আমি অসহায়ের মত আবার চায়ের কথা বললাম। আজ কোন ভুতের গল্প হলোনা। কাকা বিরাট ব্যস্ত। আমি কোনদিন টাকা দিয়ে খাইনা তা কাকা জানেই,তাই টাকা চায়নি। বাকির খাতার পৃষ্ঠা ফুরাতে সময় লাগবেনা। ব্যবসা এভাবে চললে কিছুদিনেই বড়লোক হয়ে যাবেন। তারপর দোকানে হয়তো লেখা থাকবে "বাকি চাহিয়া লজ্জা পাবেন না,আপনার লজ্জা আপনার কাছে রাখুন"
.
পকেটে হাত দিয়ে চুপচাপ হাটছি। রিফাতের বাসায় যাওয়া যায়। গিটারটা নিয়ে ছাদের কোনে বসে পা দুটো ঝুলিয়ে গলা ছেড়ে কাকের মত গান,সাথে বিকেলের নরম বাতাস। ভাবতে ভাবতে রিফাতের বাসার সামনে এসে দাঁড়ালাম। উপরে তাকিয়ে দেখি রিফাত ছাদে বসে আছে। একেবারে কোনায় বসে আছে তাই দেখতে পেলাম। বাসায় ঢুকে সোজা ছাদে চলে গেলাম। রিফাতের গিটার টা ছাদের চিলেকোঠায় থাকে,সাথে থাকে ওর কিছু এক্সপেরিমেন্ট। ত্রিশ টাকার মোটর আর পুরাতন ব্যাটারি দিয়ে বানানো ছোট্ট নৌকা,একটা মটর দিয়ে দশটা লাইট জ্বালানো,ফুঁ দিলে লাইট জ্বলে এমন কিছু জিনিশ বানিয়ে রেখেছে রিফাত। ওর মাথায় এতো বুদ্ধি কিভাবে আসে ভেবে পাই না। একে তো চাকরি করে,তার উপর বউ আছে। সময় পায় কখন?
ছাদে উঠে দেখি রিফাত গিটার পাশে রেখে কুতুবমিনারের মত বসে আছে। আমি গিয়ে ধাক্কা দিয়ে সোজা করে দিলাম।
- কিরে সুমিত কি খবর?
- আমার কথা বাদ দে। তোর মন খারাপ কেন?
- বউ
- বউ কি করলো? বউ ভালো না লাগলে আমাকে দিয়ে দে।
- এখান থেকে তোকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে মরবি না?
- হ্যা পাক্কা মরে ভূত!
- তো আমার বউ নিয়ে কথা বলবি না আর। ভূত হয়ে যাবি পরে
- রাগিস কেন?
- সকাল সকাল বউ বলল ডিম আনতে। দুই হালি ডিম আনলাম। এর মধ্যে একটা ডিম পঁচা বের হওয়ায় বাকি গুলা আমার মাথায় ফাটালো। কিছু বলতে যাবার আগে নিজের মাথায় একটা ফাটালো।
- আজিব! কেন?
- আগে সম্পূর্ণ শুন। নিজের মাথায় একটা ফাটিয়ে আমার মা কে ডাকলো। তুই তো জানিসই আমি মা কে ভয় পাই। পা এসে দেখে দুইজন মাথায় ডিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। অমনি রিনা বলল আমি নাকি পাগল হয়ে গেছি। ডিম কিনে এনে সবার মাথার ফাটাচ্ছি।
- তারপর?
- তারপর আর কি! এই বয়সে মায়ের হাতে ঝাটার বারি খেলাম।
- ওয়াও কিউট স্টোরি
- ওই আমি তোরে ভাই ভেবে এগুলো বললাম আর তুই মজা নিচ্ছিস?
- কই মজা নিলাম
- ভাগ
- দোস্ত!
- তোর দোস্তের...
.
হঠাৎ বেচারার কি হলো কিছুই বুঝলাম না। উঠে গিয়ে গিটার তুলে বারি দিল। আমি বারি খেয়ে "আওও" করে চিৎকার করে দৌড় দিলাম। বারি দেওয়ার সাথে সাথে গিটারের দুইটা তার টং করে ছিড়ে যায়।
(২)
এখন দাঁড়িয়ে আছি অবন্তীদের বাসার পেছনের দিকে। অবন্তী গান গাচ্ছে হালকা স্বরে। দ্বিতীয় তলায় অবন্তীর রুম। কিভাবে উঠবো তা নিয়ে ভাবছি না। আগেও উঠেছিলাম। প্রেমের শুরুই তো হলো RFL এর পাইপ বেয়ে উপরে উঠে। আমার সশুরকে এই একটা কারণে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছা করে। পাইপ টা যদি অন্য কোম্পানির হতো তাহলে উঠার আগেই পরে যেতাম।
এখানে আসার আসল কারণ হলো চাবি। বাসায় ফিরে দেখি তালা দেয়া। তালায় একটা কাগজ টেপ দিয়ে লাগানো ছিল। কাগজে লেখা "তালাটা আমার টাকা দিয়েই কিনেছি,আর চাবিটাও। নিয়ে গেলাম,থাকো তুমি" আমি তালা ভাঙার সাহস করলাম না। জানি তালা ভাঙলে পরে বউ আমাকে ভাঙবে!
ধিরে ধিরে পাপ বেয়ে উপরে উঠে গেলাম। অবন্তীর জানালায় একটা টোকা দিলাম। অবন্তী রাগি মুখ নিয়ে জানালা খুলল।
- ওই এখানে কিভাবে আসলা?
- পাপ বেয়ে। বানরের মত। তুমিই তো বলো আমি পুরোপুরি মানুষ হইনি একটুখানি বানর এখনো আছি
- ভাগো এইখান থেকে।
- চলো বাসায় যাবো।
- তোমার মতো গরিবের সাথে আমি যাবো না।
- আরে একটা জিনিশ আছে তো আমার সাথে?
- কি?
আমি পকেট থেকে কুঁচকে যাওয়া কদম বের করে অবন্তীর হাতে দিলাম। অবন্তী খুশি হয়ে লাফানো শুরু করে দিলো। যতই রাগ থাকুক ওর একটা কদমের সামনে ওর রাগ বরফের মত গলে যায়। আলমারি থেকে কিছু শাড়ী বের করে বলল "জানালা দিয়েই যাবো। গরিবের বউ আজ আগের মত পালাবে,হিহি" ওকে কি করে বুঝাই আমি এখন আর গরিব নেই। চাকরিটা হয়েগেছে আমার। মনে মনে "বেলাবোস" গান গেতে লাগলাম। অবন্তী একটা শাড়ীর সাথে আরেকটা বাধঁতে ব্যস্ত।
This is last Bangla Short Story. Please share our stories and inspire us.
Golpo 3
অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে রিলেশনে জড়ানোর প্রবণতা নিঃসন্দেহে অনেক অনেক বেড়েছে। কোনপ্রকার তথ্যের তোয়াক্কা না করেই চারপাশের বাস্তবতার নিরিখে বলে দেয়া সম্ভব, অধিকাংশ ছেলেমেয়েই বর্তমানে প্রকাশ্যে-গোপনে রিলেশনের মধ্যে রয়েছে! এটাও অপ্রিয় সত্য যে, এদের বেশিরভাগই শেষপর্যন্ত কেউ কাউকে পাবে না! আই রিপিট, এদের বেশিরভাগই শেষপর্যন্ত কেউ কাউকে পাবে না!! ভালোবেসে কেউ কাউকে পাওয়ার চেয়ে হারানোর সংখ্যাটা বহু বহুগুণ বেশিই থাকে! তুমি স্বীকার কর আর নাই কর, এটাই কঠিন বাস্তব।
.
সম্পর্কে জড়ালেই যে কেউ কাউকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পেয়ে যাবে, এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। সম্পর্কে জড়ালে একের পর এক নানা ঝড়ঝাপটা, বাধাবিপত্তি, আঘাত আসতেই থাকে। এত ঝড়ঝাপটা, বাধাবিপত্তি, আঘাত সহ্য করার মধ্য দিয়ে একজন আরেকজনকে পাওয়া সহজতম কাজ নয়। ছেলেদের ক্যারিয়ার আর মেয়েদের পরিবারের জাঁতাকলে পড়ে কত কত ভালোবাসা চোখের সামনেই নিঃশেষ হয়ে যেতে দেখেছি! সারাজীবন একসাথে থাকার কমিটমেন্ট করা কত কত ছেলেমেয়েগুলোকে মুহূর্তের মধ্যেই একজন আরেকজনকে ছেড়ে যেতে দেখেছি!!
.
ভালোবেসে কেউ কাউকে না পাওয়ার যত যা-ই কারণ থাকুক না কেন, এর আসল কারণ একটাই; প্রতারণা! একজন যখন প্রতারণা করে চলে যেতে চায়, তখন আরেকজন জোর করে তাকে ধরে রাখতে পারে না। কেউ তার স্বার্থের জন্য কারো জীবন থেকে চলে যেতে চাইলে, তাকে আসলে জোর করে ধরে রাখাও যায় না। এটা হয়ও না। ভালোবাসায় জোরজবরদস্তি চলে না। ভালোবাসার সহজ সমীকরণ হচ্ছে, ভালোবাসার টানেই একজন আরেকজনের কাছে ছুটে আসবে! ভালোবাসার টানেই একজন আরেকজনকে ছেড়ে চলে যাবে না!!
.
কেউ যখন কাউকে হারিয়ে ফেলে, কেউ যখন কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পায় না; তখন বেশিরভাগেরই মানসিক অবস্থাটা এমন হয় যে, এই জীবনে আর কাউকেই সে জীবনসঙ্গি হিসেবে গ্রহণ করবে না! কাউকেই সে তার বউ হিসেবে, স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবে না! এত এত দিনের একটা সম্পর্ক, এত এত দিনের একটা ভালোবাসা যখন খুন হয়ে যায়, তখন আসলে এমন ভাবনা, এমন মানসিকতা জন্ম নেয়াটাই স্বাভাবিক।
.
নিজের ইচ্ছায় না হোক; পরিবার-সমাজ-ধর্ম শেষপর্যন্ত তাকে বাধ্য করে নতুনভাবে জীবনের হিসেবনিকেশ কষতে। তিনবার ‘কবুল' বলে কাউকে গ্রহণ করতে! হারানো অতীতকে ভুলতে না পারলেও, দমিয়ে রাখতে। ভাঙা হৃদয়টা মেরামত করে নতুন কারো জন্য নতুনরূপে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে। জোর করে হলেও মুখে হাসি আনতে। ভালো না থাকলেও ভালো থাকার অভিনয় করে যেতে। পরিবারের মানুষগুলোকে ভালো রাখতে। বাঁচার তাগিদে একটা ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে। এভাবে শেষমেশ তার জীবনে কেউ একজন আসে!
.
জীবনে নতুন করে কেউ একজন আসার আগেই মনের মধ্যে যে প্রশ্নটা উঁকিঝুঁকি দেয় তা হল, আমার যে অতীতে কেউ একজন ছিল, সেটা কি তাকে বলব? তার কাছে কি আমার হারানো অতীতের কথা শেয়ার করব? যদি বলি, বিষয়টিকে সে কীভাবে নেবে? সে কি সহজ করে, সহজভাবে সবকিছু গ্রহণ করবে? যদি তার মধ্যে আস্থাহীনতা কাজ করে? যদি তার মধ্যে সন্দেহ কাজ করে? যদি ভুল বোঝে? নাকি সবকিছু হাইডেন রেখে দেব? এভাবে একের পর এক প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়! এভাবেই দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে!!
.
তুমি অতীতে কারো সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলে, তোমার বলে অতীতে কেউ একজন ছিল; সে মানুষটি তোমাকে ছেড়ে স্বার্থপরের মত চলে গেছে! তুমি তোমার কমিটমেন্ট ঠিক রাখলেও, সে তার কমিটমেন্ট ঠিক রাখেনি। তুমি তোমার ভালোবাসার মূল্য দিলেও, সে দেয়নি। এখানে তো তোমার কোন দায় নেই! তোমার কোন দোষ নেই; অপরাধ নেই! তুমি কেন নিজেকে সংকুচিত করে রাখবে? তুমি কেন হীনমন্যতায় ভুগবে? তুমি কেন সংকোচবোধ করবে? তুমি কেন নিজেকে অপরাধীর কাতারে দাঁড় করাবে?
.
যে তোমার জীবনে আসবে, তুমি তার কাছে তোমার অতীত হাইডেন রেখ না। বরং তাকে একটা সময় তোমার কাছে ডেকে নাও। তার হাতটি মুঠোভরে রেখে তাকে মন খুলে সব বল। একটুও লুকাবে না। একটুও মিথ্যাচার করবে না। যা সত্য, তাই বলে দাও। হাসার পয়েন্ট আসলে হাস, কান্নার পয়েন্ট আসলে কাঁদো। সে যদি সত্যিকারের ভালো মানুষ হয়ে থাকে, সে যদি ভালো মনের জীবনসঙ্গি হয়ে থাকে, তোমার সবকিছু সে ভালোভাবে নেবে, সহজভাবে নেবে। তোমার প্রতি তার আস্থা বাড়বে, বিশ্বাস বাড়বে। সেই বউটা টপটপ করে পড়তে থাকা তোমার চোখের পানিগুলো তার শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে দেবে! সেই স্বামীটা তার বাম কাঁধে তোমার মাথাটা ঠেকিয়ে তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে! তোমাকে সাহস দেবে, অনুপ্রেরণা দেবে। মনভোলানো হাসি দিয়ে তোমার দুঃখ-কষ্টগুলো সেখানেই থামিয়ে দেবে!!
.
মনে রাখবে, যে তোমার জীবনে এসেছে, সে নির্দোষ। দোষ যা ছিল, তোমার অতীতের সেই ভুল মানুষটির; সেই প্রতারকটির ছিল! তাই ভুল করেও তাকে কোনদিন ঠকাবে না। ভুল করেও তাকে কখনো অবহেলা করবে না। কিছুতেই না!!