In this Post, I'm writing some best Valobashar Golpo that you never have seen before.
গল্প: ১
তোমার কষ্টের কথাগুলো কাউকে বলে দেওয়া মানে এই নয় যে, সে তোমাকে যাতে ঠিক ওভাবে কখনো কষ্ট না দেয়... বরং তুমি তোমার দুর্বল দিকগুলো কাউকে খুব সহজেই জানিয়ে দিচ্ছো কষ্ট দেওয়ার জন্য... এবং পরবর্তীতে কিভাবে তোমাকে কষ্ট দিতে হয় সেটাও তাকে সুন্দর করে বলে দিচ্ছো... ঠিক এসবই হয়ে যাচ্ছে...
.
হ্যাঁ, কাউকে মনের কষ্ট শেয়ার করলে একটু ভালো লাগে... নিজেকে একটু হালকা লাগে... কিন্তু কাকে শেয়ার করবে ?? চারপাশেই যে প্রতারকদের নিঃশ্বাসে ভরা... প্রিয় মানুষকে শেয়ার করে দেখো, সেও একদিন ঠিক প্রতারণা করবে... বেস্ট ফ্রেন্ডকে শেয়ার করে দেখো, সেও একদিন ঠিক নিজ স্বার্থের জন্য তোমাকে কষ্ট দিবে... মজা নিবে...
.
একটা সময় ছিলো যখন মানুষ অন্যের মন ভাঙ্গার গল্প শুনলে আপসেট হতো... নিজেও কষ্ট পেতে... মাঝে মাঝে কেঁদেও দিতো... এখন আর সেই দিন নাই... এখন মানুষ মন ভাঙ্গার গল্প শুনলে মনে মনে আনন্দ নেয়... কাঁদা তো দূরের কথা উল্টো মুখ লুকিয়ে হাসে... আগে মানুষ কাউকে কষ্ট দেওয়ার আগে ভাবতো, এখন কিভাবে কষ্ট দেওয়া যায় সেটা ভাবে...
.
বর্তমানে খুব কম মানুষই আছে যারা তোমার সুখে খুশি হয়... বেশিরভাগ মানুষই তোমার সুখ দেখে আড়ালে জেলাস ফিল করে... তোমার সুখে থাকাই তাদের মনে হিংসার কারণ সৃষ্টি করে... কেউ কেউ তোমার দুঃখ দেখে সামনে মন খারাপ করলেও আড়ালে ঠিকই তালি বাজায়... দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি...
.
তাই কি দরকার অন্যকে নিজের কষ্ট শেয়ার করে আনন্দ দেওয়ার ?? কষ্ট হলেও নিজের কষ্ট নিজের কাছে চেপে রাখাই ভালো... বুদ্ধিমান লোকেরা কখনো নিজের দুর্বল দিকগুলো সহজে বলে না... এইসব ছোটখাটো বিষয়গুলো তুমি যতো তাড়াতাড়ি বুঝবে ততোই দ্রুত ম্যাচুরিটি হতে শিখবে... চারপাশ থেকে মানুষের দেয়া কষ্টও কম পাবে...
.
নিজের কষ্টগুলো হয়তো কষ্ট হলেও চেপে রাখা যায়... কোন না কোন ভাবে সহ্য করে নেওয়া যায়... কিন্তু কাউকে নিজের কষ্টগুলো শেয়ার করে পরবর্তীতে ঠিক একই কষ্ট তার কাছ থেকে পেলে তা সহ্য করা যায় না !
গল্প: ২
বড় বউ,ছোট বউ,মেঝ বউ এই ছবিগুলা যখন দেখেছিলাম তখন মনে হত এতো নিষ্ঠুর কি করে হয় মানুষ!!বিয়ের পর আস্তে আস্তে কিছুটা ধারনা হল।এরপর এখন যখন ছেলে মেয়ের স্কুলের হাজারো মায়ের সাথে মিশি তখন এর চেয়েও ভয়াবহ কিছু শুনি।আবার কিছু কিছু আশপাশের বাসা গুলাতেও দেখি।!!অনেকে বলে মানুষ টিভি দেখে নষ্ট হচ্ছে।টিভির চেয়েও ভয়ংকর আমাদের এই সমাজে অনেক কিছু ঘটছে বলেই এইসব নাটক সিনেমা হচ্ছে।
শুধু শাশুড়ি নয়,নিজেদের মাও জামাইর টাকার উপর মুল্যায়ন করে।জামাইর কারি কারি টাকা থাকলে এক রকম।না থাকলে আরেক রকম!!
একজন বলছিল শাশুড়িকে মায়ের চেয়েও আপন করে নিয়েছিলাম।মায়ের সাথে কোন দিন ফ্রি ছিলাম না।কিন্তু শাশুড়ির সাথে ফ্রি হয়ে গিয়েছিলাম মাত্র ১বছরেই।মা কে ফোন না করে থাকতে পারি, কিন্তু শাশুড়িকে ফোন না দিয়ে থাকতে পারতাম না।তখন জানতাম না শাশুড়ির ভালোবাসা নির্ভর করে ছেলের ইনকামের উপর। যখন ছেলে বেকার হয়ে পরল তখন টের পেলাম। ছেলের ইনকামের উপর বউ এর মুল্যায়ন! নিজের অথর্ব ছেলের জন্য কি বউ দায়ী??
যার টাকা আছে তার মা বাবা আছে।যার টাকা নাই তার কেউ নাই ঠিক না,আছে তাকে কিনে নেওয়ার লোক অনেক।নিজের গোলামী করতে কিনে নিতে চায়!
যার টাকা আছে তার জন্য আছে মা বাবার অফুরন্ত দোয়ার ভান্ডার!আর যার টাকা নাই তাকে ডাকেও বিক্রিত সুরে!!হারুইন্না,রুবেইল্লা.......
আর বৃদ্ধ বয়সে খেদমতের জন্য দরকার সেই টাকাহীন মানুষগুলাকে হাগু পরিষ্কার করতে!তখন টাকা ওয়ালারা বউ সহ মৃত্যু শয্যায় বসে পা লাড়ে!এখন যেমন লাড়ে!তারপর মা/বাবার জন্য বিশাল খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা!এলাকা এবং পরিবারের সুনাম কুড়ানো!!মা বাপের দোয়ায় তাদের নাকি টাকায় অফুরন্ত বরকত! বরকত না অবৈধ ইনকাম সেটা তখন প্রকাশ পায় না!!
সব মা বাবারা তাদের টাকা ওয়ালা সন্তানদের আশ্রয়ে ভালো থাকুক।টাকাহীন মানুষকে কিনতে চেষ্টা না করুক।এইটাই কাম্য।
গল্প: ৩
কেউ কথা রাখেনা
২৭ বছর আগে বাবা যখন মা কে ঘরে নতুন নিয়ে এসেছিল হয়তো মা তখন বাবাকে বলেছিল- সুখে:দুখে পাশে রবো। কখনো সংসার ছেড়ে যাবোনা। কিন্তু মা বাবা কে ছেড়ে ঠিকই চলে গেল; এখন সে বাঁশবাগানে একা ঘুমায় আর বাবাকে প্রায়ই দেখি তার কবরের পাশে। জায়নামাজে কাঁদে। আর মৃতূর পর আহাজারিতে আকাশ ভারী... বলেছিল- আমি আর কোনোদিন ২য় বিয়ে করব না। সেবা শুশ্রুষার সংসারের হাল ঠিক রাখার জন্য হলেও কাউকে দরকার। ভাই-বোন রা মিলে বাবা র জন্য পাত্রী দেখি, বাবা নিষেধ করেছে বহু কিন্তু শেষ অবধি বিয়েটা না করেনি। বাবা-মা কথা রাখেনি।
.
৫ বছর আগে হাতজোড় করে জনৈক নেতা দুয়ারে এসে বলেছিল- পায়ে পরি, এবার ভোট টা দিন আমি আপনাদের রাস্তা ব্রিজ কালভার্ট ত্রান সব দেব। চোর মশার উৎপাৎ বন্ধ করে দেব। কিন্তু নেতার ব্যাংক একাউন্ট পরিবর্তন ছাড়া আজও তার প্রতিশ্রুতির কোনো পরিবর্তন হলনা। নেতা কথা রাখেনি।
.
দ্বাদশী একদিন হাতে হাত বুকে মাথা রেখে বলেছিল- কোনো পরিস্থিতিতে তোমাকে ছেড়ে যাবোনা, আলাদা হবোনা, আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না! কিন্তু সে আমাকে ছেড়ে চলে গেল.. আলাদা হল। প্রেমে ধরা খাওয়ার পর বলল- বিশ্বাস করো আম্মু,,, ওরে আমি চিনিই না, পথে ঘাটে ডিস্টার্ব করে! ওর বেবি দুটো আজ কেজি এবং ক্লাস সেভেনে পড়ে। আর আমাকে ছাড়া মরে যায়নি, স্বামীর সংসারে সে দিব্যি বেঁচে আছে! প্রিয়তমা কথা রাখেনি।
.
হলে এক্সাম দেওয়ার সময় পিছনের বেঞ্চে বসা বন্ধুটি টেনে সেদিন আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলেছিল, বলেছিল- দোস্ত দেখা। ফেল করলে ইজ্জত শেষ! জীবনে বড় কিছু হতে পারলে তোকে শার্টের বদলে শো-রুম দিয়ে দেবো। বন্ধুটি আজ ব্রান্ডের মালিক কিন্তু ডিসকাউন্টও দেয়নি।
.
ভূকেন্দ্রে বসে স্যাটেলাইট বলেছিল- উৎক্ষেপণ হলে ঝকঝকা ফকফকা ছবি দেখা যাবে, নেট স্পিড বেড়ে যাবে, বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে আরও কত কী! কিন্তু কলরেট বেড়ে পকেট ফতুর। সে যে কথা দিয়ে রাখল না, জনগনের কথা ভাবল না...
.
তুমি বন্যা হলে আমি হবো সুনীল, তুমি নদী হলে হবো শঙ্খচিল... হয়েছিলাম তার প্রেমিক থেকে স্বামী, কিন্তু সে হয়ে গেল পরকিয়া!
.
ওয়াদা দেয়া হয় কি ওয়াদা ভাঙার জন্য? কি কথা ছিল আর কি হলো; প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হোক সবাই মিথ্যা বলে। আসলে সবাই Silent lair কেউ কথা রাখেনা। কেউনা...
গল্প: ৪
আমি তোমার যত্নশীল প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম, এক ডজন রমনীর প্রেম উপেক্ষা করে তোমার হাসিতে বিধ্বস্ত হতে চেয়েছিলাম, বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত ইরাকের দেওয়াল গুলোর মত তোমার মনে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে সাহসী প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
আধুনিক যুগের ইন্টারনেটের মেসেজ ছেড়ে কাঁচা হাতে চিঠি লিখে চমকে দেওয়া প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। প্রচন্ড জ্বরে কাঁপুনির ভান করে একটু জড়িয়ে ধরে ঢং করা প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। ভালোবাসার শেয়ার বাজারে মমতাজের শাহজানকে পিছনে ফেলে সেরা প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
মাসের শেষে টিউশনির এক'শ টাকা বাঁচিয়ে এক জোড়া নীল চুঁড়ি কিনে মধ্যবিত্ত উম্মাদ প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। মলিন কণ্ঠ শুনে ছটফট করে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন করে কি হয়েছে? জানতে চাওয়া দায়িত্ববান প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে একপাতা কালো টিপ কিনে মুগ্ধ করে দেওয়া বোকা প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
সস্তা টকটাইমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অযাচিত কথা বলে রাত কাটিয়ে দেওয়া নিশাচর প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম, সামান্য সময় ফোন লাইন ওয়েটিং পেয়ে অভিমানে ফোন বন্ধ করে আক্ষেপ নিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। পাড়ার মাঠে লাস্ট বলে ছয় হাঁকিয়ে সে সময়ের অনূভুতি প্রকাশ করা ছ্যাঁচড়া প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
ভুল বানানে কবিতা লিখে মেসেজ করে মুগ্ধ করতে চাওয়া স্ব-শিক্ষিত প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। শব্দ করে চাঁ খাবেনা বারণ শুনে বোকা ছাত্রের মত আর হবেনা বলে- হেসে দেওয়া প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। প্রেমিকার কড়া শাসনে মুগ্ধ হয়ে সিগারেট ছেড়ে দেওয়া বাধ্য প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
মিথ্যে জোক বলে হাসি বের করে সেই হাসিতে মুগ্ধ হয়ে সহস্র বছর কাঁটিয়ে দেওয়ার শপথ করা ভাঁড় প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। কান্নার শব্দ শুনে কেঁদে ফেলে চোখের জল লুকিয়ে ফেলা আবেগী প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
আমি উপন্যাসের নায়কের মত প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম, এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে নিয়ে কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে থেকে বখাটে প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। অসুস্থতার ভান করে একটু যত্ন পেতে চাওয়া লোভী প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম। ব্যস্ত নগরে নিরাপদে হাত ধরে রাস্তা পার করে দেওয়া সচেতন প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
বিশ্বাস করো... আমি আদৌ প্রেমিক হয়ে উঠতে পারিনি, তোমাদের ওখানে ভন্ডরা সব প্রেমের বন্দোবস্ত করে নিয়েছে। এ গলি ও গলি জুড়ে প্রতারকদের স্লোগানে মুখরিত। ফ্রি টক টাইমে কথা বলে মধ্যবিত্ত প্রেমিক আমি হতে পারিনি। প্রেম বাজারে ধুমছে চলা উপন্যাসের হিট হয়ে যাওয়া প্রেমিক আমি হতে পারিনি।
তোমাদের নগরে লাল নীল বাতিতে মনোযোগ কেড়ে নেওয়া সাইনবোর্ডে যত্নশীল প্রেমিকের বিজ্ঞাপন চোখে পড়েনি। ভন্ডদের মিছিলে পৃষ্ট হয়ে গেছে আমার যত্নশীল প্রেমিক সত্তা। আমিও একদিন প্রেমিক হবো।
গল্প:৫
গ্রামের গরিব ঘরে জন্ম নেয়া মেয়েটি ও আট দশটা মেয়ের মতো স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সে স্বপ্নের ও একটা মাত্রা থাকে। গাঁয়ের রং কালো হওয়ায় স্বপ্ন হয়তো একটি জায়গায় আটকে থাকে। গ্রামের লোকের একটিই কথা তাকে নিয়ে - এই কালো মেয়ের কি আর বিয়ে হবে না গো ...? কিন্তু কে জানে কল্পনাকেও হার মানাবে বাস্তবতা। সেই গ্রামের কালো মেয়েটি এখন অনেক সুখে আছে , পেয়েছে একটা ভালো স্বামী , একটি ভালো পরিবার। যার বিয়ে না হওয়া নিয়ে সংকিত গ্রামের লোকরা ও এখন কোনো মেয়ের বিয়ের জন্য সেই রকম একটি পাত্র খুঁজে বেড়ায় আর বলে - মেয়েটি বড়ই সুখে আছে , এইরকম কপাল সবার হয় না ।
.
বন্ধুত্ব কখনোই হারিয়ে যায় না , শত পরিস্তিতিতে ও পাশে ছায়ার মত থাকে। ছেলেটি এই কথা খুব বিশ্বাস করে। তাই বন্ধুত্বকে ভালোবেসে নিজের মনের একটা সুপ্ত জায়গায় রেখেছিলো কিছু মানুষকে। আজকে সেই ছেলেটার মায়ের জন্য রক্ত লাগবে। সেই রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে মনে হলো - কিছু কিছু বাস্তবতা কল্পনাকেও হার মানায় ! মোবাইল এর সেভ করে রেখে দেয়া অনেক বন্ধু থেকে ও একটি ফোন দেয়ার পরিস্থিতিটি বা অধিকার সে পায় নি। অথচ কল্পনাতে সে বন্ধু কে নিয়ে জীবনের একটি অধ্যায় পাড়ি দেয়ার কথা ছিলো।
.
মেসের ৩৩ টাকার খাবার গলা দিয়ে নামতে চায় না। মাঝে মাঝে কলা রুটি ও জুটতো কপালে। ছেলেটি খুব বেশি পড়ালেখা ও করতে পারে নি পরিবারের আর্থিক অবস্থার কারণে। তাই মাঝে মাঝেই অনেকটা করুন সুরে বলতো - ভাই, একটা ১৫ হাজার টাকার চাকরি পেলেই কষ্টটা অনেকটা কমে আসবে। তার স্বপ্ন ছিলো ১৫ হাজার টাকার জন্য একটি মুহূর্তের অপেক্ষা। কে জানতো - ঠিক ৪ মাস পর একটি কোম্পানীর বড় একটি চাকরি পেয়ে যান। বেতন ৩৫ হাজার টাকা। স্বপ্নের দ্বিগুন ফিরিয়ে দিলো বাস্তবতা তাকে।
.
হাসপাতালের একটি বিশ্রী গন্ধ যা মোটেই সহ্য হতো না ছেলেটার। এর আগেও অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে যেতে হলেও অস্থিরভাবে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যেতে চাইতো। অনেকটা বিস্ময় চোঁখে বলতো - হাসপাতালে যে কিভাবে মানুষরা থাকে.....? আজ প্রায় ১ বছর ২ মাস ধরে নিয়মিত যাতায়ত করে হাসপাতালে। হাসপাতালের একটা ছোট্ট চাকরি করে পার্ট টাইম হিসেবে। আবার অন্য একটি হাসপাতালে প্রায় ভর্তি হয় তাঁর মা। আজ হাসপাতালের গন্ধটি তার কাছে অনেকটা পরিচিত গন্ধ। যে জীবন তাঁকে যে গন্ধ সহ্য করতে দেয় না সে গন্ধে আজ মিশে আছে চাকরী ও পরিবার
.
.
বাস্তবতা নাকি বড়ই নিষ্ঠুর। দুঃখের সময় আপন মানুষ গুলোও পাশ দিয়ে এড়িয়ে যায়...এটাই নাকি বাস্তবতা। আবার অনেক বাস্তবতা আছে যেখানে আপন মানুষরাই পথের সাথী হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই। কষ্ট কখনও কখনও এমন ভাবে আসে যখন বুদ্ধি নির্বোধ হয়ে যায় । দিশেহারা জীবনে সব পরিকল্পনা ছাড়খার হয়ে যায়। তারপরও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয় জীবনের অদৃশ্য প্রয়োজনে। কেউ জানে না এর পর কি হবে .....কি আসবে জীবনে ?
.
জীবন অপেক্ষা করে তার নিজের রহস্য নিয়ে... তাই হয়তো জীবন এর বাস্তবতা মাঝে মাঝে কল্পনাকেও হার মানায়!
আমাদের Valobashar Golpo ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
গল্প: ৬
পাগলীর পাগল
আমি মুক্তি চাই,মেয়ে হয়েছি বলে আমি এই রকম ভাবে ডানা ভাঙা পাখি হয়ে তোমার মতো অত্যাচারীর খাচায় বন্দি হয়ে থাকতে পারব না,প্লাবন প্লিজ আমাকে মুক্তি দাও, আমি মুক্তি চাই তোমার কাছ থেকে,,,,।
,
সকাল ৭,৪৪
ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিয়ে রাত্রির দেয়া খুব সাংঘাতিক ভাষার ম্যাসেজটি দেখে ঘুমের সব টুকু ঘোর এক নিমিষেই উধাও হয়ে গেলো প্লাবনের চোঁখ থেকে,,,,
রাত্রি প্লাবনের ছোট বেলার বান্ধবি থেকে এখন বড় বেলার ভালোবাসার এক মাত্র মানুষ,দুজনেই মেডিকেল স্টুডেন্ট, পড়ে এক সাথেই,,,,।
,
প্লাবন মোবাইল হাতে নিয়ে ম্যাসেজটা পড়ার আগেই দেখেছিলো রাত্রি তাকে কাল রাতে ৪৬ বার কল দিয়েছিলো,ম্যাস
েজ পড়া শেষ হতেই প্লাবন কল দিয়েছে রাত্রিকে,,,,।
,
~ রাত্রি - (),
~ প্লাবন - হ্যালো,,
~ ()
~ কি ব্যাপার কথা বলো না কেনো,,?
~ কি চাই,?
~ ম্যাসেজে ওসব কি লিখেছো হুম,,?
~ কেনো পড়ে কিছু বুঝোনি,?
~ না,,
~ না বুঝলে ও আমার কিছু করার নাই আমি শুধু মুক্তি চাই তোমার কাছ থেকে আর কিছুই না,
~ হা,হা,হা,,
~ গাধার মতো হাঁসছো কেনো,?
~ হাঁসির কথা বলছো তাই,,
~ আমি সত্যিই সিরিয়াস,
~ ওহ,,
~ আমি ব্রেকআপ করতে চাচ্ছি,
~ কি বলো,,?
~ হুম,আজ বিকালে সময় মতো নদীর কাছে চলে এসো,,সম্পর্কের যেটুকু বাকি আছে সেটুকু ও আজ শেষ করে দিব,
~ ঠিক আছে,,
,
বিকাল ৫.১৫
রাত্রি অনেক্ষন আগে থেকেই বসে আছে নদীর পাশে,আর প্লাবন এলো এই মাত্র,,
,
~ রাত্রি - আসার সময় হলো তোমার,?
~ প্লাবন - সরি একটু দেড়ি হয়ে গেলো,,
~ একটু দেরি,?
~ না,অনেক,,
~ কিছু আনোনি,?
~ কি,,?
~ থাক কিছুই না,
পকেট থেকে ফুল বের করে তা রাত্রির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে
~ প্লাবন - এই নাও
~ রাত্রি - অনেক সুন্দর, কিন্তু ফুল তো আর ফুল নাই,পকেটে করে কি কেউ ফুল আনে,?
~ হুম,,
~ প্রতিবার তুমি ফুল হয় পকেটে না হয় ব্যাগে আনবা, সমস্যা কি তোমার,?
~ হাতে ফুল আনলে তো চেনা জানা অনেকে দেখবে আর তখন আমাকে ও অন্য ছেলেদের মতো ভাববে,,
~ হ্যা আমি ও তাই চাই যেনো কেউ ওগুলি না ভাবে,
~ মানে,,?
~ মানে আজ থেকে আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ,
~ কেনো,,?
~ তোমার অনেক সমস্যা,প্রেম করতে লজ্জা লাগে,তার পর ফোন দিলে ফোন ধরো না,আমার কোন খোঁজ খবর নেয়ার তো কোন দরকারই তোমার নাই,,ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা,
~ সত্যিই এবার থেকে ভালো হয়ে যাবো,আর কাল রাতে আমার বাসায় মেহমান আসছিলো আর তাই ফোন ধরতে পারিনি,,
~ থাক আর লাগবে না,আগে ও এরকম অনেকবার বলেছো মিথ্যুক কোথাকার,
"কথা গুলি বলেই সেখান থেকে চলে গেলো রাত্রি,প্লাবন চেষ্টা করেছিলো রাত্রিকে থামাতে কিন্তু পারেনি,,
,
সেদিন রাত ১১.৫০
রাত্রির খুব মন খারাপ ভেবে পাচ্ছিলো না কি করবে ভাবতে ভাবতে কল দিলো প্লাবনকে, কল আসার সাথে সাথেই রিসিভ করল প্লাবন, হয়তো সে এরকম কিছুরই অপেক্ষায় ছিলো ,,,,
,
~ প্লাবন - হুম বলো,,
~ রাত্রি - ভেবেছিলাম কল ওয়েটিং পাবো কিন্তু তা না পেয়ে অবাক হচ্ছি,
~ কোন দিন আমার ফোন তুমি ওয়েটিং পেয়েছো,,?
~ বাদ দাও ওসব কথা, নতুন ভাবে আর ধরার কি আছে তোমার সব বদমাইসি আমি আগেই ধরেছি আর তাই তো ব্রেকআপ,
~ ভালো,, তাহলে কল করেছো কেনো,,?
~ তুমি তো জানোই,
~ কি,,?
~ তোমার কন্ঠে গান না শুনে আমি ঘুমাতে পারি না,
~ সব তো শেষ,তাহলে এবার এই অভ্যাসটা ও বদলে ফেলো,,
~ হুম সে চেষ্টা করছি,
~ হুম,,
~ গান শোনাও,
~ আজ মন ভালো নেই,,
~ ওইইইইই,
~ "এযেনো সহজ শিকাররক্তি আমি যুগান্তরি নই,,
"এযেনো ভীষণ আক্ষেপ আমার আমি দিক বিজয়ী নয়,শুধু একটাই আশা আমি বুকে জড়িয়ে,রব সারাটিজীবন তোমায় নিয়ে,,
"কোনো এক নিঃসঙ্গ রোদেলা রাতে আমি দেখেছি,প্রিয়তম
া তোমার চোখে মিষ্টিহাঁসি"
" "কোনো এক দুঃসহ জোছনা দিনে, বাতি নিভে গেলে, কড়া নেড়েছি তোমার হাতের ঘরে,,,,, কিছু অর্থহীন শব্দ গুনে ডেকেছি তোমায়,,,, প্রে----ম তুমি কোথায়,,,,,,।
,
~ রাত্রি - প্রেম তুমি কোথায়,? প্লাবন তোমার প্রেম এখন অন্যের হয়ে গেছে,
~ প্লাবন - মানে,,?
~ সুজনকে তুমি চিনবে না তার পর ও বলে রাখি ও আমাকে অনেকদিন ধরে পছন্দ করে,আর মাঝে প্রপোজ ও করেছিলো আজ হ্যা করে দিলাম,,
~ কি,,??????
~ আর হ্যা গানটা ভালো ছিলো ধন্যবাদ ভাইয়া,
~ ভাইয়া,,??
~ ধরো আমি আর প্লাবন ডেটিং এ গেছি আর ঠিক তখন রাস্তার মাঝে তোমার সাথে আমার দেখা, তখন তো আমি তোমাকে আমার পারাতো বড় ভাই হিসাবেই পরিচয় করিয়ে দিবো তাই আগে থেকে অভ্যাস করছি,,কিরে আমার ভাই হবি না,?
~ হ্যা হবো,একদম ভালো লাগছে না আমি রাখছি,,
কথা গুলি বলেই ফোনের লাইন কেটে দিলো প্লাবন,,,,।
,
পরেরদিন সারাদিন ধরে প্লাবনের কোন খবর নেই,বার বার কল দিয়ে ও মোবাইল বন্ধ পাচ্ছে রাত্রি,মেয়েটার খুব চিন্তা হচ্ছে প্লাবনের জন্য,,,,,সারাদিন প্লাবনের কোন খবর না পেয়ে রাতে প্লাবনের আম্মুর কাছে কল দিলো রাত্রি,,,,
~ আসসালামু ওয়ালাইকুম আন্টি,?
~ প্লাবনের আম্মু - ওয়ালাইকুম আসসালাম,
~ আন্টি প্লাবন কই,? ওর মোবাইল বন্ধ কেনো,? কিছু হয়নি তো ওর,?
~ আম্মু আমি তোমাকে জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু প্লাবন আমাকে তোমাকে জানাতে নিষেধ করেছিলো,কাল রাত থেকে ওর খুব জ্বর আর মাথা ব্যাথা,,
,
পরেরদিন ভোর,,
ঘুমিরে ছিলো প্লাবন,কোন এক হাত তার মাথায় চেনা হাতের সে ছোয়াতে ঘুম ভেজ্ঞে গেলো তার, জেগে চোঁখ খুলে প্লাবন দেখতে পেলো তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে পাশে বসে কাঁদছে রাত্রি,,দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে থেকে ও কিছুক্ষন কেউ কারো সাথে কথা বলছিলো না,এর মধ্যে রাত্রির চোঁখের পানির পরিমান বাড়তে দেখে প্লাবন
~ তুমি হঠাৎ,,?
~ রাত্রি - ()
~ কি ব্যাপার কাঁদছো কেনো,,?
~ ()
~ কান্না থামাও,,
~ তার পর কি নাম যেনো,? সুজন না কি যেনো তোমার তার কি খবর,,?
~ আমি তো মজা করছি,
~ কোনটা মজা,? কাল যেটা বলেছো সেটা নাকি এখন যেটা বলছো এটা,,?
~ তোমার কি এরকম কিছু বিশ্বাস হয়,?
~ না হলে ও এখন থেকে সত্যিটাকে বিশ্বাস করে সেটাকে মানতেই হবে,আমি তো তোমার ভাই,,
~ তুমি আমার সাথে ওইরকম করো সে জন্য আমি একটি মজা করেছি,
~ একটু মজা,,?
~ হুম,
~ তোমার একটু মজার জন্য আমি দুইদিন খাইনা,আর আমার এই অসুস্থতা তোমার ওই একটু মজার জন্যই,,
~ আর এরকম করব না,
~ আচ্ছা ঠিক আছে,,
,
সত্যিকারের ভালোবাসার সম্পর্ক গুলিতে যেমন মান অভিমানের মাত্রা একটু বেশি থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে সেই সম্পর্ক গুলিতে দুজনের প্রতি দুজনার বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা থাকতে হবে,তাহলে সব সত্যিকারের ভালোবাসা পাবে পুণর্তা,বেঁচে থাকুক বেঁচে থাকার সবটুকু শক্তি নিয়ে সব সত্যিকারের ভালোবাসা গুলি,,,,।
আপনি কি কবিতা পড়তে ভালোবাসেন ? তাহলে কবিতা পড়ার জন্যে চেক করেন আমাদের বাংলা কবিতা (Valobahsar Golpo )
গল্প: ৭
সেকেন্ডের কাঁটা টা আস্তে আস্তে মিনিটের ঘরে চলে যাবে,মিনিটের কাটা ও ঠিক ৬০ বার ঘুরে আবার ফিরে আসবে আগের যায়গায় এতে করে পেরিয়ে যাবে এক ঘন্টা।এভাবে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দিনের শেষ অন্ধকার নেমে আসবে,অন্ধকার ফুরালেই আবার দিনের আলো।
এভাবেই একটা সময় দিনের পর দিন চলে যাবে,পেরিয়ে যাবে কতশত মাস।হাতের আংগুলের ফোড় গুলান দিয়ে তখন হিসেব করবে কত বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু কেউ কি একবার ও ভেবেছে এই কত বছরে ঠিক কত সেকেন্ড সময় সে পেয়েছে? অবশ্যই না।মানবজীবনের স্ট্রাগল শুরু কিন্তু সেকেন্ড থেকেই।তবু ও কেউ ভাবেনা,কারো ভাবার সময় ই থাকেনা।
বছরের পর বছর চলতে চলতে তোমার কপালে আর গালে ভাঁজ পরে যাবে,বাধ্যকের রেখা দেখা দিবে তোমার কপালে।আমি ও ঠিক তোমার মতো ভাবেই পার করে দিবো কয়েকটা বছর,আমার কপালে ও সেদিন ভাঁজ পরে যাবে।আমি ও হাতে লাঠি নিয়ে বাসা থেকে বের হবো কারন লাঠিটাই হবে শেষ সম্বল।
তোমার চারপাশ ভড়ে থাকবে তোমার নাতি নাতনিরা,অবসরে সময় কাটতে চাইবেনা তোমার,সেদিন তুমি ও সময় কাটানোর জন্য ফিরে যেতে চাইবে তোমার নাতি নাতনিদের বয়সে,বিলিভ কর তুমি চাইবেই কিন্ত সেটা তোমার পক্ষে সম্ভব হবেনা।
আমি ও সেদিন বেরিয়ে পরবো কোন এক বাজারের দিকে,অবসর কাটানোর জন্য আমি ও সেদিন খুব মরিয়া হয়ে পড়বো। কিছু ফাও আলাপ আর কড়া করে চিনি দেয়া চায়ের কাপে আমি চায়ের সাথে সাথে গিলতে থাকবো আমার অবসর কে।
তোমার ওই মায়াবী চোখে থাকবে চশমা, তবে আজকের চশমা আর সেদিন চশমার মাঝে থাকবে অমিল।ছোট গ্লাসের দামি চশমার বদলে সেদিন থাকবে মোটা বড় কোন গ্লাসের পাওয়ার ওয়ালা চশমা।আমার ও একই রকম হবে,তখন চশমা দিয়ে আর আধুনিকতা প্রকাশ করা হবেনা কারো।
কোন এক সময় রাস্তার মোড়ে দেখা হবে যেতে পারে তোমার সাথে,চশমার কাঁচটা ঘোলা থাকায় হয়তো সেদিন তোমায় ঠিক করে চিনতেই পারবোনা আমি অথবা চশমার গ্লাসটা মুছতে মুছতে চলে যাবে তুমি, পরে হয়তো ভাববো কোথায় যেন দেখেছিলাম।
এই তোমার সাথে কাটানো বছরের পরে বছরের সব কিছু আমি ভুলে যাবো, ভুলে যাবে তুমি ও।শুধু একটু অভিমানে আমার যায়গায় তুমি অন্য কাউকে অধিকার দিয়ে ফেলবে আর সেই অভিমানে আমি ও অনেক দুরে চলে আসবো তোমার থেকে,আমাদের ভালোবাসা বাসিটা থেকে যাবে বহুকাল কিন্ত সেটা ও হেরে যাবে বাধ্যকের কাছে।
জিতে যাব আমরা জিতে যাবে আমাদের অভিমান।
তবু ও বলছি ভালো থেকো তুমি।
গল্প: ৮
ভালোবাসার মানুষটাকে আমরা জীবনে না পেলে অনেকেই মেনে নিতে পারি না। অনেকেই আত্মহত্যা করে। অনেকেই আবার ভালোবাসার মানুষটার উপর সব দোষ চাপিয়ে দেয়... সে কেন আমায় ছেড়ে গেলো বা সে কেন অন্যকে বিয়ে করলো।
ওকে আমি কখনো ক্ষমা করবো না। তার অপারগতা বুঝতে তখন কেউ ই রাজী থাকে না। তাকে নানান উপাধিতে ভূষিত করে।
জীবন বহমান।সে কারো জন্যই অপেক্ষায় থাকে না। তবে মাঝে মাঝে মনটা থমকে যায়। তখন বিভিন্ন বুঝ দিয়ে মনকে শান্ত করতে হয়।
ভালোবাসলে তাকে জীবনে পেতে হবে এমন কোন রুলস নেই।
দূর থেকেও ভালোবাসা যায়।
দূর থেকে ভালোবাসাইটা পবিত্র। দূর থেকে ভালোবাসায় যেমন চাওয়া পাওয়া থাকে না। তেমন রাগ, অভিমান থাকলেও তা আরেকজনকে স্পর্শ করে না।
কারো প্রতি থাকে না কোন অভিযোগ বা ভুল বুঝাবুঝি।
থাকে না সেক্রিফাইসের কোন ঝামেলা।
দুইটি জীবন একই রেখায় চলে তবে কেউ কারো অস্তিত্ব টের পায় না।
এক তরফা ভালোবাসা গুলো হয় স্বার্থহীন।
ভালোবাসলে তাকে যে কোন ভাবেই ভালো বাসা যায়। সে যে জীবনে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই।
সে জানুক আর নাই জানুক ভালোবাসাটা তখন তার নিজস্ব।
মন তখন সুধায়.. কেন আরো ভালোবেসে যেতে পারে না হৃদয়।
এক তরফা ভালোবাসায়... ভালোবাসার মানুষটা জীবনে যেভাবেই থাক না কেন... তাকে ঘিরে বিরাজ করে একরাশ ভালোলাগা।
গল্প: ৯
"অনেক কিছু চাওয়ার মাঝে অল্প অল্প পাওয়াতে অনেক বেশি কিছু খুজে পেয়ে নিতে হবে,,,,
"প্রতিটি মানুষের জীবনে চাওয়া থাকে অনেক কিছুর,স্বপ্ন থাকে অনেক কিছু পাওয়ার,কিন্তু সবাই তা পাই না বা সবার সব ইচ্ছা সব আশা পূরণ হয় না,, অনেকে পাই আবার অনেকে তা পাই না, নিজের সব চাওয়াকে নিজের মতো করে না পাওয়া মানুষের সংখ্যাটাই আমাদের মাঝে বেশি,,,,
"আবার আমাদের চোঁখে দেখা অনেক মানুষ আছে যাদেরকে দেখে মনে হয় আমাদের কাছে যে সে সব পেয়েছে তার সব আছে, কিন্তু আসলে কি এই মানুষ গুলা তাদের জীবনে সব পেয়েছে,,? খুজে দেখবেন তার মাঝে ও কোন না কোন কিছু নিয়ে না পাওয়ার হতাশা আছে আর এতো কিছু পাওয়ার আনন্দ তাকে পুরিয়ে মারে ওই না পাওয়া কিছুর আগুনে,,,,,,,,
"আসলে পাওয়া না পাওয়া ব্যাপারটা প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে,যে যে ভাবে নিবে সে সে ভাবেই পাবে,নিজের মনের সন্তোষটির উপর নির্ভর করে অনেক পাওয়া না পাওয়া সাফল্য ব্যর্থতা,,,,খুব অল্প পাওয়াতে অনেক কিছু পাওয়ার স্বাদ খুজে পাওয়া যায় যদি আপনি সেটা নিতে পারেন,,,,
"প্রতিটি বাবা মাকে নিয়ে আপনি একবার ভাবুন,,ওই মানুষ দুজনের ও কিন্তু জীবন, তাদের ও একটা সময় লক্ষ্য ছিলো অনেক কিছুর,, ছিলো আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন,,,,কিন্তু যখন তাদের সন্তান হয় ঠিক তার পর সব কিছু বদলে যায়, তাদের লক্ষ্য তখন ও থাকে,, বেঁচে থাকে স্বপ্ন ও কিন্তু তখন তা বদলে যায় আগে যেটা ছিলো নিজের জন্য তখন সেটা হয়ে যায় সন্তানের জন্য,তাদের জীবনের সব চাওয়া আর সব পাওয়া থাকে তখন তাদের সন্তানকে ঘিরে,,,,খুব অল্পতেই তখন এই মানুষ গুলি অনেক কিছু খুজে পেয়ে নিতে জানে,অনেক না পাওয়ার মাঝে ও সন্তানের সামান্য পাওয়ার মাঝে তারা খুজে নিতে জানে অনেক বেশি আনন্দের,,,,,নিজে না খেয়ে ও তা তুলে দিতে পারে প্রিয় সন্তানের মুখে আর এটাই তাদের কাছে অনেক বেশি কিছু অনেক না পাওয়ার মাঝে ও জীবনের সব পাওয়া,,,,,
"আপনার ছুটতে হবে নিজের গতিতে,ছোট ছোট পাওয়া নিয়ে সন্তোষ থাকতে থাকতে হয়তো আপনি ও পেয়ে যাবেন জীবনের চোঁখে দেখা সব স্বপ্নের,নিজের হাতে ছুয়ে দেখতে পাবেন অনেক অনেক সাফল্য,,,,,"'
লেখক #Mahedi_hasan
গল্প: ১০
কল্পনার ক্যানভাসে তুমি
কল্পনা বা স্বপ্ন প্রতিটা মানুষই প্রতি নিয়ত দেখতে থাকে....নিজের জগৎটার সাথে কল্পনার জগৎটা কেমন যেন মিলেমিশে একাকার.... যেখানে রাজা আপনি আর রাণী আপনার ব্রেনের সেভ থাকা সেরা অপ্সরীটা...
আমিও মাঝে মাঝে আশ্চর্য রকমের কল্পনা করি.....চোখের মণির রিখটার স্কেলটাতে থার্মোমিটারের পারদ মিশিয়ে একটা ঝাপসা অবয়ন তৈরী করি.....চোখ খুললেই সে আমার মুখে একগাল হাসি দিয়ে কেমন যেন ভ্যানিশ হয়ে যায়....
কাঠফাটা রৌদ্রের আগুনে তাপে সে আমাকে পুড়িয়ে যায় আর বসন্তের কৃষ্ণচুড়ায় পাখির মত মৃদু ছন্দে পাশ দিয়ে হেটে যায়....পাগলীটার হাতে গাঢ-নীলচুড়ি... পরনে নীল শাড়ী আর খোপায় তাজা বেলীর ফুলের সুবাসের তীব্র গন্ধে কেমন যেন মাদকতা তৈরী করে আমার ভিতর.....নীলচুড়ির টুংটাং শব্দ শ্রবনের আশায় আমি বারবার চোখ বুজে কল্পনা করি আমার অপ্সরাকে...
আমার কি মনে হয় জানেন......
কোন এক শীতের ভোরে পৃথিবীর কোন এক পাশে কোন এক অপ্সরাও ঠিক আমার মত করে ভাবছে...
আমি চোখ বুজে আর সে হয়তবা সিক্ত ঘাসের শিশির মাড়িয়ে টংয়ের চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আমার কথাই ভাবছে......!!!
সেও হয়তা বা এই অগোছালো ছেলেটাকে গোছানোর দায়িত্ব নিতে চায়....বর্ষার শ্রাবনধারায় অথবা প্রচন্ড শীতে কম্পনরত ছেলেটার কথা চিন্তা করে সে হেসে দেয়....তার বারবিডলকে আমি মনে করে অগোছালো চুলগুলো টেনে টেনে সে ঝগড়া করে নয়তবা চুপ করে আছে দেখে চুলগুলো ঠিক করে দিতে দিতে তীব্র ভালবাসা অনুভব করে.....এতটাই তীব্র যে বেশিক্ষণ থাকাতে না পেরে পালিয়ে যায় সে..
আমার কি মনে হয় জানেন.....
এক ঝুমবৃষ্টির দিনে কোন বাসস্টপিসের নিচে আমাদের দেখা হবে....রিক্সার হুট ফেলে দিয়ে বৃষ্টিবিলাস করবো হাতে হাত রেখে....একজনের জ্বর আরেকজনের ঠান্ডা লাগবে আর পাগলামির জন্য দোষারোপ করবো একে ওপরকে.....
শীতের ভোরে কুয়াশায় ঘুম ঘুম চোখ আর অগোছালো চুল নিয়েই হাঁটতে থাকবো শিশিরে আর কম্পিত শরীরের স্পর্শে ভালবাসার গভীরতা মাপতে থাকবো.....তার মায়াভরা মুখ আর কালো চোখের চাহনীর উষ্ণতায় গলিয়ে দিতো আমার বরফ জমা কঠিন হৃদয়টাকে......বুকের ঠিক মাঝ বরাবর মুখ লুকিয়ে ঘন-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রশান্তি দিতো আমাকে....চিরদিনের মত মায়ার আর ভালবাসার বন্ধন দিয়ে আগলে রাখতো আমাকে.
বাস্তবে,,,,,, শীত আসে...বসন্ত চলে যায় বর্ষা আসে আমি বাসস্টপিসে অপেক্ষায় থাকি...... কেউ আসে না.
মেয়েটাও তার স্বপ্নগুলোকে বেলকনির হেলান দেয়া চায়ের চুমুকে গুলিয়ে দেয় অপেক্ষা করে সে আসবে.....!
আর.....আমি!!!
চোখ বুজলেই সেই ঝাঁপসা নীল অপ্সরী.....তার হাতের টুংটাং বাজতে থাকা চুড়ি....মায়া ভরা মুখ....মনখারাপের রাতে চোখের কাজল বেয়ে টপটপ করে ঝরে পড়া অশ্রু সাঁতরিয়ে তার হাসির কারণ হতে চাই আর
সারাজীবনের জন্য ডুবে যেতে চাই ঐ হাসির মায়ায়....!
তার দিন আমি আর রাতটাও আমি....আমার কল্পনার জগতে শুধু সেই থাকবে.....চোখে কাজল থাকবে.... টোলপড়া গালে হাসি থাকবে....হাতে গাঢ রংয়ের নীল চুড়ি থাকবে আর আমার অগোছালো চুলগুলো নিয়ে টানাটানি করবে...ঝগড়া করে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকবে.....রাগ ভাঙ্গাতে গেলে নখের আঁচড় দিবে....দিন শেষে আঙ্গুলের ভাঁজে আঙ্গুল রেখে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলবে.....ভালবাসি তোমার চেয়ে একটু বেশি❤
কল্পনার জগৎটা বড়ই অদ্ভুত....কোন মানা নাই...যা ইচ্ছে যেমন ইচ্ছে তেমনটাই করতে পারবে......
বাস্তবতা থেকে পালাতে পারবে না জেনেও ঘুমের ঘোরেও মানুষ স্বপ্ন দেখে....
কল্পনার জগতে কারও হাত শক্ত করে ধরে পাখির মত ওড়া যায়...... অসহ্য রকমের সৌন্দর্য আর তার সাথে তুমি-তুমিময়....এই অসহ্য সৌন্দর্য্য থেকে মুখ ফেরানো সম্ভব নয়.....
সত্যিই কখনও সম্ভব নয়.....যদি তুমি পাশে থাকো!!!!!!!
সম্পূর্ণ গল্পটা পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের আরো ভালো লাগবে যদি আমাদের গল্পগুলো শেয়ার করেন এবং আপনার মতামত দেন। অন্যান্য ভালোবাসার গল্প পড়তে পারেন এইখানে ..
আমাদের সাইটে Comment Backlinck করতে চাইলে,
ReplyDeleteনিচের লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসুন আমাদের সাইটে।
https://mytecbd.com/
ReplyDeleteব্যাকলিংক করতে চাইলে
সাইট টি ঘুরে আসুন।
Click Here;