Valobashar Kobita

Valobshar Kobita means Bangla love poems.

Here are some high-quality poems for you. Let's start to read.

Valobashar Kobita


মনের বদল
তানজিনা রহমান 

বহু বর্ষ পরে ,মনে পড়িল, প্রভাত বেলা
মনে পড়িল, জাগ্রত ছিলাম,
খুলিয়া নয়ন পাতে
ভালবাসায় তৃষ্ণার্ত ছিলাম
হয়ে চাতক পাখি
বাঁচার সাধ ছিল
আনমনা জাগরিত শয়নে

আজিকে ভেবে হই হারা,
অস্ত গিয়াছে যে রবি
কি করে ? জপেছি তা
কি নামে ? ডেকেছি তারে
হয়েছি, পাগলপারা
আজিকে তো দেখি না কিছু
নামটাও অচেনা বাজে
কি ছিল ? তাহারি মাঝে
কি করে ছিল ?এত তৃষ্ণা
তৃষিত ছিল, চৌচির ছিল, হৃদয় মরু
আজিকে শুধু ভাসি জলে
ভেবে হই সারা,এত খরা কী করে ছিল?
এ ভরা যৌবন পাতে
বহমান পথে

সময়ের কাছে, রহস্য সবি
বদলায়,তৃষ্ণার্ত চাতক ও
আছে জল তার রাশি রাশি ।


ছেলেরা কাঁদতে জানেনা 
নুসরাত বাবলী

একটি ছেলে
যে কিনা কাঁদতে শেখেনি
খুব যতনে কাঁদাতে শিখেছে।
যে কিনা চোখের জল হয়ে
কাজল লেপ্টে গাল ভিজিয়েছে।

ছেলেরা কাঁদতে জানে না
কিন্তু খুব যত্মকরে কাঁদাতে জানে।
কাজল চোখের লেপ্টে যাওয়া
কাজলের কারণ সে হতে জানে।

কখনো আবার সেই লেপ্টে যাওয়া
কাজল চোখের কালি গোল জল
গভীর প্রেমে খুব গোপনে
মুছে দিতেও তো সে জানে।

আবার কখনো কান্নার জল মুছে
চোখে জুড়ে কাজলটাও সে আঁকে।

ছেলেরা কাঁদতে জানে না।
যত্ম করে কাঁদাতে জানে।
কখনো আবার কান্নার সেই
জল মুছে দিতেও খুব জানে।

I'm posting some Bangla Love Story on my blog. If you have time, you're invited to read.

আমা‌দের সু‌দি‌নের ইতিহাস
মু‌নিয়া

আজ আকা‌শে এক বিন্দু জল ছুঁবো,
ঐ জানালায় আজ হাওয়া নয়, আমি যা‌বো!
তোমার চশমার ফ্রে‌মে ব‌ন্দি হ‌য়ে, সব কিছু ঘোলা‌টে ক‌রে দি‌বো!
তু‌মি আকুল হ‌য়ে আপন ম‌নে বাই‌কে যেই না দি‌বে হাত,
শত শত ধূ‌লিকণা ক্লা‌ন্তি মে‌লে হাস‌বে!
তোমার হেড‌ফো‌নের এক‌টি তার রোজ কে‌টে যা‌বে, অন্য তা‌রের গান হ‌বে আমার কাব্যরা!
জুতার ফিতা হা‌রি‌য়ে যা‌বে,
রো‌দের ঝাঁ‌ঝে রে‌গে যা‌বে,
তবু বাই‌রে যাওয়া চল‌বে না কো,!
বাহানা ক‌রে , আট‌কে রাখা ব্যস্ততারা উপোস নিবে,তবু
চাঁদের জ‌লে স্নান ‌তো হ‌বে,!
আচ্ছা,
নতুন প্রেয়সী‌কে ঘ‌রে ফে‌লে বাইরে পা দেবার
সাহস কোন ব‌ণি‌কের আছে?
সময় হ‌বে ব‌ধির
তবু
এক চিল‌তে হা‌সির ফাঁকে
ল‌ুটোপু‌টি খা‌বে,
‌ আমা‌দের সু‌দিনের
ই‌তিহাসেরা !

অনু
রাশেদ নিজাম বাপ্পি

আমায় ভেবে তোমার চোখে কি
অনু পরিমান জল আসে?
তোমার মনে কি আমায় নিয়ে
অনু পরিমান ভাবনা আসে?

আমায় ভেবে তোমার মনে কি
অনু পরিমান কষ্ট জমে?
তোমার জীবনে কি আমার আজ
অনু পরিমান ঢাঁই আছে?

আমায় ভেবে তোমার ঠোঁটের কোনে কি
অনু পরিমান হাসি ফোঁটে?
তোমার মনে আজও কি আমার ভালোবারার
অনু পরিমান ছিটেফোঁটা লাগে?

তুমি একদিন আমায় প্রশ্ন করেছিলে,
"আমি তোমাকে কতো টুকু ভালোবাসি"?
আমি বলে ছিলাম "অনু পরিমান"
তুমি খুব হেসে ছিলে, সেই হাসি আজও ভাসে চোখে।
সত্যি আমি তোমাকে আজও
"অনু" পরিমানই ভালোবাসি।
জীবন খুব অদ্ভুত এই অনু পরিমান ভালোবাসা,
কপালে হলো না ঠাঁই।
তাই এই অনু পরিমান ভালোবাসা নিয়েই,
মরে যেতে চাই।

একটু কেমন যেনো
সিরাজুম মুনিরা সোনিয়া 

কখনো আধ ফোটা ফুল
কখনো জমে থাকা ভুল

কখনো ঝগড়ার রেশ
কখনো উঁচু নীচু হিসেব নিকেশ

কখনো ঘড়ায় তোলা জল
কখনো গভীরে অতল

কখনো তুমি আমি অবাক
কখনো চারচোখ নির্বাক

আয় আয়!
একটু কাছে আয়!!
বুকের পাঁজরে তুই আয়!!!
ঘুম ভাঙা শহরের গায়
লুটোপুটি ঘুম ঘুম হায়।
আয় আয়!
একটু কাছে আয়!!
বুকের পাঁজরে তুই আয়!!!

জমে জমে!
কান্নারা জমে!!
চোখের কোনে জমে!!!
নিদারুন তুই হীনা প্রেম
হয়ে উঠি নলিনীর হেম
জমে জমে!
কান্নারা জমে!!
চোখের কোনে জমে!!!

হয়তোবা রোদ্দুরের ঘ্রাণ
হয়তোবা এলোমেলো গান

হয়তোবা স্রোতের শব্দ
হয়তোবা কেউ রয় স্তব্ধ

হয়তোবা নিরালা দুপুর
হয়তোবা অচেনা সে সুর

হয়তোবা তুমি আমি এক
হয়তোবা নয়,
সত্যিই তুমি আমি এক।

আমায় তুমি কোথায় পাবে?
কাবিদ হাসান

খুঁজে দেখো তো
ছুড়ে ফেলা আর্দ্র বকুল
কিম্বা খোপায় গোঁজা
বাসি গোলাপ ফুলে।
আমি কিন্তু ঘাপটি দিয়ে থাকা
মনীষার মতো রুষ্ঠ, নিষ্ঠুর।

খুঁজে দেখেছো কি?
শুন্য পাকস্থলীর মৃত্যুতে,
কিম্বা হেমলকের ওই প্রাপ্তিশুন্যতা মেটাতে?
আমি কিন্তু পেয়ালা ধরে থাকবো,
খুব হাসবো তোমার তৃষ্ণা দেখে।

খুঁজতে পারো
মুগ্ধতার সে নির্জতায় স্বচ্ছ জলে ডুবে,
কিম্বা নরক নামের গ্রহটাতে একটুকু ঢু মেরে।
আমি কিন্তু বাস্তবতার মতো
তোমায় বুকে টেনে নিবো লেলিহান হয়ে।

খুঁজে আমায় পাচ্ছো না তো?
নির্বাসনে বসত গড়ে নাও,
কিম্বা জীবনটাকে ফেলে দাও দুটো ক্রাচের উপর।
আমি কিন্তু ভরসা নামের
মিথ্যার মতো তোমায় দিবো ফাকি।

আমায় খুঁজতে থাকো
ঘুমে কিম্বা ঘুমের মাঝে জেগে,
অকেজো স্বপ্নের বৈরীতাকে মেখে।
আমি কিন্তু নগ্ন করি চোখ,
ধ্বংস করি তোমার মাঝের "সত্য সত্য" ঝোক।

আমায় যদি খুঁজে না পাও?
জীবিত লাশের ঘ্রাণ টেনে নাও বুকে,
আর কফিনে মাখাও জাফরানের এলোমেলো রঙ।
আমি কিন্তু দ্রোহের শান্তি দিবোই,
তোমার ঘর ভেঙ্গে যাবে, যদি ডানা ঝাপটায় ছোট্ট সে চড়াই।

সুপর্ণা
সুজা মজুমদার

সুপর্ণা জন্ম তোমার মাতৃ গর্ভে,স্বামীর ঘরে মরণ,
তোমার বাঁচা নির্ভর করে পণের আয়োজন,
তোমার দেহ ক্ষুধা মেটায়,টাকায় প্রয়োজন,
এই কি তোমার নিয়তি নারী,এই কি জীবন!
তোমার বাঁচা নির্ভর করে,পণের আয়োজন।

নারী তোমি ডিম পাড়া গল্পে শুনা সোনার হাঁস,
ডিম শেষে কেঁটে খাওয়াই,তোমার ইতিহাস,
ঘরে ঘরে নরখাদক বেঁচে যেথা করে অভিলাষ,
বিয়ে তাঁদের মাংস যোগায়,তোমার সর্ব্বনাশ।

ক্ষ্যাপা খুঁজে পরশ পাথর,লোহা কিনা সোনা হয়,
এ-দেশে বিয়ের সাজে ভিখারি ও রাজা হয়,
গো-মাতার নামে যেথা রক্তের নদী বয়
শতশত মাতা সেথা,পণ প্রথার বলি হয়!

'সুপর্ণা' তুমি একা নও,শ্মশান কাঁদে শত চিতায়,
কাঁদে গর্ভধারিণী মা আকুল হয়ে,পেটে ধরায়,
গর্ভে,স্বামী গৃহে কিংবা ছিঁড়ে খাবে রাস্তায়,
বলো ওগো,'সুপর্ণা',তুমি লুকাবে কোথায়?

তোমার কভু ও হয়নি পূজা,শুধুই প্রহসন,
প্রেমের নামে যুগে যুগে তুমি হয়েছে ধর্ষণ,
ঘরে ঘরে আজ ও আছে শত দূর্যোধন,
নারী তোমার বেঁচে থাকা শুধু প্রয়োজন।

Looking for Bangla Love Letter? Then check my blog Bangla talkies and read as more as you can.

অথচ
নীপা আকন্দ

অথচ একটি দিনও চলছে না
তোমার সঙ্গ ছাড়া!
পৃথিবীর যেখানে যতো মায়া আছে
সবই যেন তোমাতেই--
পৃথিবীর যেখানে যতো রঙ আছে
সবই যেন তোমাতেই---
পলাশ শিমূল জারুল সোনালু কৃষ্ণচূড়া
সবেতেই তোমারি ছায়া---
দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক টিয়া
সবেতেই তোমারি মায়া---

যেখানে যাই যেদিকে তাকাই
তোমারেই যেন ফিরে ফিরে পাই!
যা কিছুই পাই যা কিছুই চাই
তুমি ছাড়া যেন আর কিছু নাই!

অভিমান 
কানিজ সাপি

অতঃপর
অভিমান করে চলে গেলে
এতো ভালবাসলে এতো গভীরতা
রৌদ্রের গন্ধে শুকায় ফেলে ভালবাসাকে----
মিশে গেলে অতলে ধূসর ধুলিতে।

অথচ
তুমি আমার অস্তিত্বের মাঝে
বেঁচে আছ শিশিরের পেলবতায়
হিম জ্যোৎস্নার মতো কামনা বাসনার
তৃপ্তি জাগানিয়া মনে----
অন্তহীন পথ ধরে এক সম্মোহনী
অহংকারী আকর্ষণে।

কিন্তু
যখন তোমাকে দিয়েছি অনেক যন্ত্রণা
কুয়াশার আঁধারে তলিয়ে যাওয়ার আঘাত।
ভেঙেছি তোমার মন।
তখন সুতোবিহীন শুধু আবেগের বাঁধনে
জড়িয়ে রাখতে প্রতিক্ষণ প্রতিমুহূর্ত
আমাকে।
উচ্ছৃঙ্খল অবজ্ঞা দেখাতাম
তখনোও যাওনি ছেড়ে।

তারপর
এখন আমি অন্ধকারের বন্ধ কুটিরে
খরায় জ্বলেপুড়ে চৈতালী ক্ষেত।
জলমগ্নতায় ভূমি ক্ষয়ে ভাঙা তীর।
কখনোবা নীলাকাশে ছেঁড়া কাঁথার বসন্তের দাগ।
তোমার অস্তিত্ব বুকে নিয়ে
তৃষ্ণার্ত কাকের পিপাসার কাতরতা
বহন করছি নিভৃতে।
এভাবে অনন্তকাল বেঁচে থাকা যেন
কষ্টযুক্ত পাণ্ডুলিপির বোঝা বহন।

সুতরাং
ফিরে আস জমাটবাঁধা অভিমানকে
তুচ্ছ কিরে।
নীরব থেক না---
যে ভাঙচুর তোমার মন জুড়ে
সেই শব্দ আমি শুনি আমার হৃদয়ের
অনুভবে।
ফিরে আসো অভিমান ভেঙে
জ্যোৎস্নার জোনাকির নরম আলোয়
আমি হব জ্যোৎস্নার নরম নদী
তুমি হও হিংস্র স্রোত।

উৎকণ্ঠা
ইবনে খায়ের

বৃষ্টিতে ভেজা উলঙ্গ শহর
আবার রোদের ত্যজি উল্লাস,
আমি উৎকণ্ঠা আর লজ্জায় মরি ;
অপেক্ষার বিষপাত্র হাতে নিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ধরি।

নীলবর্ণের ছলনা জমেছে বুকে,
হামাগুড়ি দেড়, হাঁটতে পারে না ;
একাই দেখে হাসি।
আমি বৃষ্টি দেখি আর থুবড়ে পড়ে থাকা স্মৃতিচর্চা করি।

কিছুই হয় নি, হবে না কখনো_ এই বিশ্বাস আবদ্ধ জীবনে ;
বহুদূরে পড়ে আছে উৎকণ্ঠার জ্বর আর আমার ভাঙা-ফুটা জীবন তরী।

গত দুই জোছনায় বৃষ্টি এলো পৃথিবীতে, তোমার চোখের কালো দাগ মুছে দিতে, তুমি ভুলে গেছো অশ্বিনী ?
আমি অলীক উৎকণ্ঠা আর চিন্তায় ডুবে মরি।

কথোপকথন 
মনিরুল & কানিজ

কানিজ
পেঁচার মতো মুখটা কেন করেছ
কদিন থেকে।
ঐসব কি মানায় তোমার মতো ব্যক্তিত্ব
সম্পন্ন মানুষকে। হাসলে জীবন হয় ছন্দময় সেটা কি তোমার অজানা।
স্বর্গ যদি সুখের ভাণ্ডার হয়,ওখানে হাসির যদি দরকার না থাকে তাহলে আমি স্বর্গে যাবনা কখনো।
ওটা কি আঁকলে না হয়েছে ত্রিভুজ,
না হয়েছে চতুর্ভূজ দেখাচ্ছে বৃত্তের মত।

মনিরল
আমার জ্যামিতিক জ্ঞান খুব ভালো ছিলো না কখনো, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ
বড়জোর কোণ, রম্বস ওসামন্তরিক
বৃত্তে এসেই যেন সব আটকে যেত
ব্যাস, ব্যাসার্ধ, জ্যা 'র জ্যামিতি ছাপিয়ে
তোমার অর্ধবৃত্তাকার আঁখিতে বিঁধে গেল সব...বাকবাচালতার কলরব
তোমার নামের অক্ষরের জ্যামিতি কত
শত সহস্রবার যে অঙ্কিত হয়েছে
খাতার পর খাতা অবিধিবদ্ধ নিয়মের নিগড়ে, স্থিতির লঙ্ঘিত সীমায়
গতিবিদ্যার অস্থির গতিতে!
আমার গাণিতিক হারের চাওয়া
তোমার ঔদাসীন্য আর নিস্পৃহতায়
ছুড়ে দিয়েছে জ্যামিতিক হারে - দূরের কোন নক্ষত্রলোকে!

কানিজ
মনে এতো সংসয় কেন?
ঔদাসীন্য দেখাই অবজ্ঞা করি নিস্পৃহতায় চাপা ব্যথা বহন করো বুকে। নিরবেই থাকে লুকানো ভালবাসার স্পর্শের ছোঁয়া।
আমার চোখতো ধারালো ছুড়ির মতো না রম্বসকে ব্যাবচ্ছেদ করবে।
তুমিতো বল শিল্পীর তুলিতে আঁকা কাজল কালো মায়াবী, এচোখে অনায়াসে হারিয়ে ফেলা যায় নিজেকে।
আমার নামতো দু অক্ষরের হানি----
সোজা করলে হয়ে যায় সমান্তরাল।
আমার কান্না হাসি,চাওয়া পাওয়া প্রাপ্তি
তোমাকে মিছে কষ্ট দেওয়া সব কিছুই
সমান্তরাল।
ত্রিভুজ রম্বসের যায়গা নেই ওতে।
নেই ধূসর সন্ধ্যা ও স্বপ্নভাঙা শোকের ছায়া।
একটা বৃত্ত আছে..
সেই বৃত্তে......!

অধরা সুখ
মোঃ আব্দুল আলীম খান

পোস্টহীন ভাবে পোস্টে
অনাহারী পোলাও রোস্টে!
পরাজিত ভাবে পদে
খোরে বাটপারে মদে!
নীতিহীন অনাচারে
ভিক্ষুক দ্বারে দ্বারে!
মিথ্যুকে মিথ্যাতে
প্রতারকে ছলনাতে!
পিশাচে রক্ত পানে
শকুনে লাশের ঘ্রাণে!
ফিতনাবাজে দ্বন্দ্বে
অমানুষে সব মন্দে!

অধরা সুখ খুঁজে ফেরে,
শুধু অশান্তিই পায় জেরে!

অনুভূতি
আশনা আরাফ

স্পর্শের বাহিরে থাকা যায়
সওয়া যায়, চলা যায়
কিন্তু অনুভূতির বাইরে থাকা
মেনে নেওয়া যায়না।

বৃত্তেবন্দী ছোট বিন্দুর কেন্দ্রে
ছুটে চলে অনেককিছুই দৃশ্যের বাহিরে,
অনুভূতির নামের পঞ্চইন্দ্রিয়ে
কিছুই থাকেনা অগোচরে।

ধীরেধীরে টুকে নেওয়া অনেককিছু
তবুও হিসেব রাখেনা কেউ প্রাপ্তির,
হঠাৎ করেই হারিয়ে ফেলা নিয়তির
কারন হয়ে বসে থাকে
অকারনে অনিচ্ছুক সমাপ্তির।


বিষ !!
মৃত্তিকা মৃন্ময়ী রায়


আমাকে একটু বিষ দিতে পারো???!
তোমার মিষ্টি কথায় আজকাল বিরক্তি লাগে খুব,,,বিবমিষা জাগে!

ঠিক যে ভাবে অন্যদের সাথে কপি পেস্ট কর শিরশিরে অনুভূতি!
সাঁতার কাটো ক্ষয়িষ্ণু শরীরে।
তখন আমি ফাতনায় চোখ রাখি----
আর দূর থেকে দেখি তোমার ছেঁড়া পালে জুড়তে থাকা জোড়াতালির সংখ্যা।

তোমার ভাঙ্গা মাস্তুলে বহুযুগের ঐতিহাসিক দাগ!
আবেগতড়িৎ জলের ছলাৎ ছলাৎ!
পুরোনো জাহাজ নোঙ্গর ফেলে না ঘাটে।
মাঝামাঝি কোনো সমঝোতা মেনে স্রোতের টানে বয়ে চলে
আর ফেরি করে বারোয়ারি সুখ-দুঃখ, বিষাদ-আনন্দ।

আমি তার ভেসে চলা দেখি!
ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে হেসে চলা দেখি!

তোমার সিঁড়িতেও মরচের দাগ আমাকে আতঙ্কিত করে, শঙ্কিত করে।---

তাই সাবধানী পা ফেলে হাত বাড়াই বিষের খোঁজে!
আমাকে একটু বিষ দিতে পারো?!

তোমার মিষ্টি কথায় আজকাল অরুচি লাগে খুব,,,বিবমিষা জাগে! তাই-----

শেষ চিঠি
বীথি ইসলাম

অধিশ্রয়....

টুকরো টুকরো আমি। আমাকে খুঁজে পাবে না আর তুমি। ভালোবাসা, বিশ্বাস সব আজ আমায় ছুটি দিয়েছে। প্রিয় শহর বিদায় দিয়েছে অনেক আগেই।
হারিয়ে যাওয়ার আগে আরো একবার এসেছিলাম আমার সমস্ত সত্তা নিয়ে-তুমি পারোনি আমাকে বিশ্বাসের মন্ত্রে আটকাতে।
তুমি তো জানো,এছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে ই আমার খোঁজ করা সম্ভব নয়।তাই নির্বাসন।

তোমাকে একবার বলেছিলাম,"আমি সহজ প্রস্থান চাই।"
তুমি বলেছ,সহজ প্রস্থান আর নিয়েছ কই।"
তোমার সাথে আমি ও হেসেছি।
কিন্তু তুমি বুঝতে ই পারোনি,-সহজ প্রস্থান কথাটার মানে!
এখানে প্রস্থান পৃথিবী ছেড়ে যাবার।
সমস্ত আয়োজন করে দিয়েছে সবাই মিলে।
সারা জীবন আমাকে সবটা পথ একাই পাড়ি দিতে হয়েছে।
অথচ দেখ,আজ সবাই মিলে আমাকে প্রস্তুত করে দিয়েছে।

আচ্ছা এভাবে প্রস্থান হলে কি পোস্টমর্টেম হয়?
হলে কেউ কি বুঝতে পারবে কেন এই প্রস্থান!
আপন জনেরা ই ফেঁসে যাবে নাতো!
কিছু কথা আমার জন্য খুব সত‍্যি।

স্বজন কাছে থাকলেও স্বজন, দূরে থাকলেও।
প্রত‍্যক্ষে ও আমার, পরোক্ষে ও।
যা কে চাইলেই যে কারোর হয়ে যায়,তাকে "আমার" বলতে আমার সত‍্যি ই খুব রুচি তে বাধে।
তুমি ই তো বল, আমার নাকি খুব সূক্ষ্ম রুচিবোধ।

নিষ্পাপ হতাশা
তানভীর খান রিম

অসময়ের চিন্তা গুলো
জেগে বসেছে আজ,
নীল কালো মেঘ গুলো
সঙ্গী সেজেছে তাঁর।
প্রতিটা দিন সময়ের সাথে
বেড়েছে বয়সের তাপ,
তবু শুধু বেঁচে থেকে
করে যায় বিলাপ।

উত্তরণ আশাকরা টাও কি
নেহাতি এক পাপ?
বলে দাও বিধাতা,
তোমার কাছে এসেছে এক পাপী
ব্যথা ভরা হৃদয়ের উদ্যোক্তা!
সে মানুষের দুঃখে হয় মাত্রাতিরিক্ত দুঃখী,
বলে দাও বিধাতা,
কি আমার পাপ?

সময়ে সময়ে কেনো
এতো পরীক্ষার তাপ,
বাঁচার আশা বিন্দুমাত্র থাকে না
আশেপাশে তাকিয়ে
মনে আশে তীব্র ঘৃণা,
বেঁচে থাকা দায় নাকি
অন্যরকম কোনো সীমা?

আত্মহত্যা করেছো মহা পাপ!
না হলে কবে ঝরে যেত,
এ হৃদয় নিষ্পাপ।
হাজারো কষ্টে বেঁচে থাকি
শুধু তোমার বাঁধায় পড়ে আমি,
করিতে পারি না
আজ আর নতুন কোনো পাপ!

অপূর্ণ
নাজমূল কবীর জিমি

দিন গুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে,
রঙ্গিন নেশার গোড়ে পড়ে।
সময় থাকতে হয়নি সাধন,
অসময়ের আশার কলসি নিয়ে লাভ কি?

দু'দিন পরে চলে যাব,
শেষ হবে সব কাহিনী।
ঈমান আমল কিছুই করিনি,
সঙ্গে নিবো কি?

আশার বাণী সবাই শুনায়
সঙ্গে কেউ যাবে কি?
জীবন ঘাটের মাঝি আমি,
নিজের তরি নিজেই পাড় করি।

মর্গ
দেবজ্যোতি দাশ টুটন

মৃত্যুকাব্যের পৃষ্ঠতলে,
ফের জ্বলে সেই পরিত্যক্ত মর্গের বাতি ,
গোটাকয়েক লাইন লেখা রয় আরও ।
অতঃপর,
হেমলকের সুভাসে,
শব্দমঞ্চ ধুকে পড়ে অনিকেত আর্তনাদে,
সুদূরের ফ্ল্যাশব্যাকে পঁচে মরে উদ্ভ্রান্ত পথিকও ।
পুনরায়,
মর্গের দেয়ালে ভেসে উঠে মৃত্যুগ্রাফিতি,
মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষায় তৃষ্ণার্থ মৃত্যুও।
শুক্লপক্ষের খোঁজে,
কৃষ্ণপক্ষের কবি মুমূর্ষু কবিতায় হাঁটে,
অন্ধকারে বুনে জোৎস্নাবিলাস,
তবুও কবি জটলা পাকায়,
করে মর্গে নিয়তির অভিলাস

নাম
আশনা আরাফ

নামটা নাহয় শব্দ হয়েই বাঁচুক
অসম প্রেমে বারবার হারুক,
নামটা নাহয় শব্দ হয়েই বাঁচুক
জীব যখন সত্যিই এতো লাজুক।

সত্ত্বা ঘুঁচে যাক আঁধারে
হারিয়ে যাক পৃথিবী অদূরে,
তবু নামটা যেন শব্দ হয়ে বাজুক
শুনে শুনে দূরে দূরে মনে মনে হাসুক।

হৃদয় যখন অবাস্তব চাওয়ায়
নামটা পড়ে থাকুক কোনো ছায়ায়,
জ্যান্ত মানুষ হোক পুড়ে ছাঁই
নামটার শব্দ বুনে ফানুস উড়াই।

নামটা নাহয় শব্দ হয়ে থাকুক
নীরবে নীরবতা ভেঙে একটু কাঁদুক,
নামটা যেন শব্দ হয়ে মাপুক
ছোট্টমনে কষ্ট কেমন জানুক।

সেই ছেলেটি 
নিলয় কাব্য

বিকেলের পর থেকে ক্রমশ অন্ধকার হতে হতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে,
ঝিলের ধারে একলা বসে কেউ অন্ধকারে রুপকথা বুনে ,
ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণাচূড়া গাছ ঝলমল করে,নিরব দাঁড়িয়ে,
একটা অদূর থেকে আসা রজনীগন্ধা ফুলের খুশবো ছড়ায়
অথচ ছেলেটা নিশ্চুপ বসে থাকে ঝিলের ধারে
বোধয় তার কোন গন্তব্য নেই |
ছেলেটা ঝিলের পানিতে পাথর ছুঁড়ে মারে
মনে হচ্ছে মনের ভেতর বিদ্রোহ পুষতে গিয়ে আর পারছে না,
মনটা তার থমথমে আকাশের মতো
হয়তো মনের আকাশে এক ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষা ছেলেটার|

ওর ঘর ফিরতে মন চায় না
রোজ রোজ চার দেয়ালের ভেতর তার দম বন্ধ হয়ে আসে,
অনিশ্চিত যাত্রা সামনের পথটুকু তার
সন্ধ্যার মতো ঘনিয়ে আসা তার বিষাদের রং
তার নরম আবেগগুলো মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে,
দেয়ালে জমতে থাকা কালো রং মিশে থাকে
তার সামনে যাওয়ার পথের মতো অন্ধকার হয়ে
আবার রোজকার মতো সন্ধ্যা হয়,
সবাই ফিরে নীড়ে
ছেলেটি ঠাঁয় বসে কিসের প্রতিক্ষায় থাকে
রাত নেমে আসে
তার ফেরার ইচ্ছে জাগে না|

একটা সময় সে উঠে হাঁটতে থাকে গন্তব্যহীন পথে
রাতের আঁধারে নাগকেশরের গন্ধে আশে পাশে ভরাট থাকে,
শেষ বসন্তের হাওয়ায় হাওয়ার উড়তে থাকে ভবিষ্যৎ,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে রং লাগে
ছেলেটির মন ভাসে না,
বিষাদে ঘিরে থাকে তার আকাশ,

ছেলেটি স্বপ্ন দেখে একটা সমুদ্রের ঢেউ
বালিয়াড়ি আছড়ে তার শরীর ছুঁয়ে যাবে
রাতের আকাশে প্রিয়ার বুকে ঘুম ঘুম চোখে আকাশের তারা দেখবে
হঠাৎ ইচ্ছে হলে মধ্যরাতে তার হাত ধরে জোৎসনা স্নানে যাবে,
মাথার উপর লালচে চাঁদ,
উত্তাল রাতে অনিশ্চিত হেঁটে চলা আবেগী সময়,

একেকটা স্বপ্ন থমকে দাঁড়ায়
রাত যায় হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত পথিকের মতো
সবাই ঘরে ফিরে, শান্ত ঘুমে বিভোর
শুধু তার চোখে ঘুম নেই
তার ঘরে ফেরা নেই |

Thanks for reading the whole post. I think you like our all Valobashar Kobita. So, you can share this poems with your friends and others.

No comments:

Post a Comment