Top 3 Amazing Bangla Love Letter for Lovers

3 Amazing Bangla Love Letter for Lovers. Read All These Stories and Share this.

bangla love letter


Letter 1

ক্লাসে ম্যাডাম ঢুকেই বলল, " নীলয় তুই নাকি সাদিয়াকে প্রেমপত্র দিছিস! সাদিয়া তোর প্রেমপত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।" ম্যাডামের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো। সাদিয়া ম্যাডামের একমাত্র মেয়ে। ডাইনী মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। ম্যাডাম আবার বলল, "কিরে তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন"? ভয়ে আমার পায়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট করে ফেলার মতন অবস্থা।

জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ম্যাডাম এমনিতেই আমাকে দেখতে পারে না। তার উপর তার মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি, সেটা পড়ে বেচারি অজ্ঞান। ম্যাডাম আমার অবস্থা আজ কি করবে সেটা বুঝার বাকি রইলো না। মনে মনে বিপদের দোয়া পড়ছি আর নিজের বুকে ফুঁ দিচ্ছি। আল্লাহ এবারের মতন আমাকে বাঁচাও এরপর থেকে সাদিয়াকে নিজের বোনের চোখে দেখবো।

ম্যাডাম আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো আমার দিকে।ক্লাসের সবাই সার্কাস দেখার অপেক্ষায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম আমার কাছে এসে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বলল, " পড়ে শোনা"। ম্যাডামের কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ। আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাডার তার ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে উঠে বলল, "এক্ষণ পড়ে শোনা বলছি।"

আমি চিঠি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম।

কলিজার বোঁটা সাদিয়া,

কেমন আছো তুমি? জানি তুমি ভালো নেই। তোমার ডাইনী মা ৪৫ মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে! আল্লাহ জানে সারাদিন তোমার উপর ঐ ডাইনীটা কতো নির্যাতন চালায়। তুমি বললে আমি উনার বিরুদ্ধে মামলা করবো।

প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার বুক কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। অথচ মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কাউকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ওটা আমারি বুকের ভূমিকম্প।

তুমি জানো সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি গণিতের প্রতি দিতাম তাহলে আইনস্টাইনের মতন আমারো পকেটে দুইচারটা নোবেল থাকতো। কিন্তু দেখো আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমার কথা চিন্তা করি। কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য চিন্তাটাও ঠিকমতন করতে পারি না। হঠাৎ করে তোমার মা আমার চিন্তার মধ্যে এসে আমাকে লাঠিপেটা করে আর বলে " ঐ তুই আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করিস কেন?"

সেইদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাঁদে যাচ্ছি হানিমুন করতে। রকেটে আমি আর তুমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা থেকে যেন তোমার মা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বলে, " এবার খেলা হবে।"


বিশ্বাস করো সাদিয়া, তোমার কথা মনে হইলেই এই হৃয়দের মধ্যে এনার্জি বাল্ব জ্বলে উঠে। তুমি আবার ভেবো না আমি ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় কিনেছি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য। 
আমি ফিলিপ্স বাল্বের কথা বলেছি। যা দিবে তোমাকে শতভাগ আলো ও দীর্ঘদিনের গ্যারান্টি।

সাদিয়া বিশ্বাস করো এই মনে!!...."

হঠাৎ ধপাস করে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ পেলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তার ডাকতে গেলাম।

ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন," তুমি নাকি ম্যাডামের মেয়ে সাদিয়াকে চিঠি দিয়েছ। কি ছিল সেই চিঠিতে দেখি চিঠিটা আমাকে দেও।" আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম কে বললাম "আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন ম্যাডাম।"

প্রেমপত্র
রিফাত আহমেদ


Letter 2

প্রিয় হবু বউ
কেমন আছ তুমি?
কী করছ বলোতো?
আচ্ছা তুমি এমন সার্থপর কেনো?
সেই কবে থেকে তোমাকে খুজে যাচ্ছি কিন্তু তুমি
এখনও আসলে না।
কোন গর্তে লুকিয়ে আছো হুম।
যে গর্তেই থাকো তাড়াতাড়ি সামনে এসো।
যানো তোমার জন্য কত কিছু পরিকল্পনা করে
রেখেছি?
জানবাই বা কী করে।
তুমি তো এখন অন্য ছেলের গার্লফ্রেন্ড হয়ে তার
হাত ধরে ঘুরছ অথবা এমন কারও সাথে বন্ধু হয়ে আছো
যে কারণে অকারণে তোমাকে পটানোর চেষ্টায়
আছে।
নাকি আমার মতো একঘেয়েমি জিবন পার করো
তুমিও ?
শোনো দয়া করে যা ইচ্ছা করো তবে আমার জন্য
অল্প একটু ভালবাসা রেখো।
প্রতি সপ্তাহে কিন্তু তোমাকে আইসক্রিম বা ফুচকা
খেতে নিয়ে যাবো। আচ্ছা তোমার কোনটা ভাল
লাগে?
আইসক্রিম নাকি ফুচকা নাকি অন্য কিছু।
আচ্ছা চিন্তা করো না তোমার যেটা ভাল লাগে
সেটাই খাওয়াবো।
রাতে তুমি যখন ঘুমাবে তখন এক নজরে তাকিয়ে
থাকব তোমার ওই মায়াবি মুখখানির দিকে।
এটা ভেবে এখনই সপ্নে বিভোর থাকি আমি।
আটা ময়দা এসব মাখা হয় নাকি হুম।
দেখো এখন আটা ময়দা মাখতেছো মাখো আমার
কাছে আসলে কিন্তু এগুলো হবে না।
তবে তোমার বেশি সখ থাকলে মাখতে পারো।
এই
ঈদে কী শপিং শেষ করেছো নাকি এখনও করছ?
দেখো বাবার কাছে আছো তাই যত খুশি করে নাও
আমার কাছে আসলে কিন্তু কিছুও না পেতে পারো।
যখন ঈদে তোমাকে কিছু দিতে পারব না তখন খুবই
অবহেলা করবে আমাকে তাই না।
ঈদের দিন কী কোথাও বেড়াতে যাও নাকি আমার
মতো ঝিমিয়ে বা ঘুমিয়ে কাটাও?
বেড়াতে গেলে কোথায় যাও বন্ধুদের বাসায়, নাকি
কোনো ছেলে সাথে ।
তার হাতটা ধরো কী?
তবে আমাদের প্রথম ঈদে তোমাকে সুন্দর একটা
শাড়ি উপহার দিবো।
মাথায় একটা বেলি ফুল গুজে দিবো আলতো করে?
তুমি আনন্দে চুমো একে দিবে আমার কপালে। দিবে
তো নাকি বলবে এতো ঢং করো করো কেনো তুমি।
প্রেমের প্রথম ঈদ হলে এমন কিছু উপহার দিবো যেটা
তোমাকে আমার কথা মনে করাবে।
আমাদের বিয়েটা কীভাবে হবে?
ভালোবেসে পালিয়ে নাকি সবার মতামত নিয়েই।
আমাকে দিয়ে কিন্তু পালিয়ে বিয়ে হবে না কিন্তু
পালানোর ইচ্ছা থাকলে সব পরিকল্পনা তোমাকেই
করতে হবে বুঝলা।
না পারলে সারা জিবন মুড়ি খাবা পারু হয়ে।
দেখো এমনিই তোমাকে ছেড়ে অনেক দিন থেকে
ফেলেছি ও থাকতেছি কিন্তু তখন একটা দিনও
থাকতে পারব না তাই অযুহাত দিয়ে বাপের বাড়ি
যাওয়ার ধান্দাটা কমিয়ে ফেলো।
এই তোমার কি বর্ষাতে ভিজতে ভালো লাগে নাকি
লাগে না। আমার কিন্তু লাগে ।
মনের অজান্তে তোমাকে ভেবে মাঝে মাঝে অনেক
ভিজি আমি।
আচ্ছা আমাদের প্রথম দেখাটা কীভাবে হবে।
বাসের পাশের সিটে, ভার্সিটিতে,কোনো অনলাইন
পেজে, পার্কে নাকি সরাসরি বিয়ের পিরিতে।
ভার্জুয়াল রিলেশনে কিন্তু আমি অবিশ্বাসি তাই
সেটার দিকে তোমার মন না দেওয়াই ভালো।
আচ্ছা আমার মতো করে কি তুমিও ভাবো নাকি অন্য
ছেলেকে নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত সময় পার করছ।
কোন জেলায় বাড়ি তোমার বলোতো।
লালমনিরহাট,,বরিশাল, রাজশাহি
নাটোর নাকি আমার জেলা
যেখানেই হোক রিলেশনের প্রথম দেখাটা কিন্তু
তোমাকেই করতে আসতে হবে।
প্রথম দেখা করতে গিয়ে মাইর খাওয়ার ইচ্ছা আমার
নাই।
সাথে যে তুমি তোমার ভাই বা প্রথম বয়ফ্রেন্ডকে
আনবা না তার কী নিশ্চয়তা আছে।
তুমি কি যানো তোমাকে ভেবে কতগুলো রাত ঘুমহিন
কাটিয়েছি আমি । জানবে বা কি করে তুমি তো
অন্য কোথাও ব্যস্ত সময় পার করছ হয়ত।
সপ্ন দেখছ হয়ত ঠিকই তবে সেটা হতে পারে অন্য
কাউকে নিয়ে।
তবে এসব কিছুতেই আমার আপত্তি নাই কারণ যতই
ভাবি বিয়েটা শেষে অন্যর গার্লফ্রেন্ডকে করতে
হবে যানি তাই এসব নিয়ে সন্দেহটা বাড়াতে চাই
না। কারণ সব থেকে বেশি ঘূণা করি সন্দেহ ও
অবিশ্বাসকে।
তবে দয়া করে একটু ভালোবাসা আমার জন্যও রেখো।
আমার জীবনটা খুবই সাধারণ। তবে সপ্ন দেখি
অসাধারণ কিছু করার। জানি পারব না তবে
সপ্ন দেখতে তো আর মানা নেই তাই না।
যাই হোক যেখানেই থাকো যেভাবে থাকো একটু
তাড়াতাড়ি এসো আমার জিবনে বুঝলা। তেমাকে
বিহীন যে আর সময়টা কাটে না।
ইতি
তোমার হবু বর

Finish !! Wait... Below another one

Thanks for reading and Please continue to other

one given below...



Letter 3

"আমার মা'কে কষ্ট দেয়া লোকটাকে আমি ডিভোর্স দিতে চাই " 
___________________________________________

" মিম্ মি জীবন নিয়ে লড়াই তো চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাই hats off to you ; কিন্তু ছেলের পাসপোর্ট করেছেন কি ? ডিবি থেকে ভেরিফিকেশনে এলে বলবে আপনার ঠিকানাতে বাচ্চার ঠিকানা দেওয়া যাবেনা। ওর বাবার ঠিকানা লাগবে। কারন আপনি ওর লিগ্যাল গার্ডিয়ান না। ইমিগ্রেশনে আটকাবে । বাচ্চা নিয়ে দেশের বাইরে যেতে বাবার concent letter লাগবে! কারন আপনি আপনার সন্তানের লিগ্যাল গার্ডিয়ান না...... !
--- এই কথাগুলা বললাম কারন এই প্রশ্নের মুখমুখি আমি হয়েছি। তখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে জানতে চেয়েছি--- সন্তান আমি জন্ম দেওয়ার পরেও, একা একা লালন পালন করে যাবার পরেও যদি লিগ্যাল গার্ডিয়ান আমি না হই, তাহলে আমি কে?''

-----আমার কোন এক পোস্টে একজন সিঙ্গেল মা লিখেছেন মন্তব্যটা।

আমি সাধারণত ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো লেখার চেষ্টা না করি ফেবুতে।কারন আমার পোস্ট মূলত পড়েন জীবনে কখনো হেরে যেতে হয়েছিল এমন মানুষেরা।
আমি চাই না তারা আমার লেখা থেকে এমন কোন ধারনা গ্রহণ করুক যাতে মনে হয়--- জীবন একটা মহা ভেজালের জিনিস।জীবনের উপর যেন বিরক্ত হয়ে না যায় তারা ।
তাই খুব সচেতনভাবেই আমি চেষ্টা করি পজেটিভ কিছু লেখার জন্য ইস্যু যাই হোক না কেন।

কিন্তু তার মানে এই না যে আমার জীবনে দুঃখ কষ্ট কান্না নেই। কাঁদতে আমাকেও হয় লুকিয়ে লুকিয়ে। সন্তানের জন্য সিঙ্গেল প্যারেন্টের চোখের জলের মতো শুদ্ধ পানীয় পৃথিবীতে আর কিছু নেই।আমিসহ পৃথিবীর সকল সিঙ্গেল প্যারেন্টকেই জীবনে অজস্র বার এই শুদ্ধ জলে ভিজে নিজেকে তৈরি করে নিতে হয় নিত্য নতুন বহু অনাকাঙিক্ষত জীবন যুদ্ধের জন্য।

ডিভোর্সের পরে কেন যেন বহু ছেলে/মেয়ে (খুবই কম সংখ্যক মেয়ে) কেন যেন পার্টনারকে ত্যাগ করার সাথে সাথে সন্তানকেও ত্যাগ করে ফেলেন। অথচ ধর্মে এবং সমাজে কিন্তু এই বিষয়ে পরিষ্কার বিধান আছে।তাতে কি ? আইনের শাসন ! বাংলাদেশে !

আসলে কি হয় জানেন ? দায়িত্ব নেবার মতো GUTS কিছু মানুষের কখনোই থাকে না। তারা বিয়ে করতে হয় বলেই করে। সন্তান জন্ম দিতে হয় বলেই দেয়। চাকরি/লেখাপড়া করতে হয় বলেই করে। কখনোই সততা, ডেডিকেশন , প্যাশন দিয়ে তারা কোন কাজ করেন না। এই স্বভাবের লোকেরা ডিভোর্সের পরে মাথা থেকে সন্তানকেও ঝেড়ে ফেলে দেন ।
এসব ধ্বজভঙ্গ পুরুষ ধরেই নেয় --- আরে যাবে কই ? আমার ই তো রক্ত। আয় তু তু বললেই ছুটে চলে আসবে সন্তান । আপাতত কিছু বছর চিল মারি।জীবনটাকে ইনজয় করি।আর ঐ যে বাতিল করা পুরাতন বৌ সে মানুষ করুক বাচ্চাটাকে। শা***** বুঝুক আমার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এত সহজ না।সন্তানের দেখভাল সব কিছুই ওরে করতে হবে একা একা। না হবে ক্যারিয়ার না সংসার না স্বপ্ন পূরণ । মেয়ে মানুষের আবার স্বপ্ন পূরণ!! সমাজও ছিঁড়ে খাবে ওরে। বাচ্চাসহ কোন বোকা পুরুষ (!!)(আসলে সঠিক শব্দটা হবে মহামানব) ওরে গ্রহণ করবে ?

হুমম এসব ঘটছে নিত্যই।
এ ধরনের ঘটনার পরে এক শ্রেণীর নারী সত্যিকার অর্থে হারিয়ে যান জীবন থেকে। আরেক শ্রেণী প্রাথমিক ঝড় ঝাপটা সামলে বছর দুএকের মধ্যে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ান জীবনের সাথে বোঝাপড়া করবেন বলে।

আমাকে যখন জীবনের একটা চ্যাপ্টার ক্লোজ করতে হলো তখন আমি ঘর ছাড়ার সময়ে কিংবা বলা যায় ঘর থেকে বের করে দেবার মুহূর্তে একহাতে একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং অন্য হাতে সন্তান এবং পাশে নিজের আব্বু আম্মু আর বোনদের ভরসা ছাড়া আর কিছু সাথে করে আনতে পারেনি।
আমার মায়ের শখ করে সাজিয়ে দেয়া তথাকথিত মাষ্টার বেডরুমের এবং আমার ছেলের রুমের জন্য ইন্টার্নশীপের সময় পুরো এক বছরে নিজের বেতনের জমানো টাকা দিয়ে কেনা আসবাবপত্রের একটাও সাথে আনা হয়নি। শখের শোপিচ , ড্রেসিটেবিলে রাখা টিপের পাতাগুলো কাচের রেশমি চুড়ি , আলমারী ভর্তি কাপড় ,ওয়াসরুমের আয়নার সাথে লাগানো LOVE লেখা স্টিকারটাও তুলে ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে আসার সুযোগটুকু পাইনি। সম্ভবতঃ বারান্দাতে তখনো ঝুলছিল আমার চুলের গন্ধ মাখা ভেজা টাওয়ালটা।
এরকমই হয় আসলে। হুট করেই ভেঙে যায় তাসের ঘরগুলো। যেগুলো আসলেই সংসার হয়ে উঠতে পারেনি ইট কাঠের ইমারত ছাড়া।

তো ছেলেকে স্কুলে ভর্তির সময়ে সমস্যা হলো।পিতা মাতার NID, পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হয়।যখন যথাযথ লোকজনের কাছে এই প্রয়োজনীয় পেপারসগুলো চাওয়া হলো সেসব কিছুতেই পাওয়া গেল না। একবার না বার কয়েক চেষ্টার পরেও যখন কিছুই পাওয়া গেল না তখন বাধ্য হয়ে পুরনো এলবাম ঘেঁটে পাওয়া গেল শুধু বিয়ের দিনের ছবি। অদ্ভুত দ্রুততায় এক এলবাম ভর্তি ছবিগুলো টুকরো টুকরো করতে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় একেবারেই লাগেনি।তবে তিন টি ছবি ছেঁড়া হয়নি । বিদায়বেলা বাবা মা কে জড়িয়ে ধরে কান্নার একটি আর বিয়ের শাড়ি পরা সাজুগুজু করা পুতুল পুতুল টাইপ দেখতে ছোটখাটো ভীত মেয়েটির হাসি মাখা মুখের দুটো ছবি। কেন যেন এই ছবি তিনটাতেই আটকে গেল মানুষকে অন্ধভাবে ভালোবাসতে এবং ভরসা করতে জানা মেয়েটি।

যাহোক ডাক্তার হবার বদৌলতে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি সব কাগজ জমা না দিতে পারার পরেও। কিন্তু পাসপোর্ট করা সম্ভব হয়নি এখনো।

কিন্তু তাই বলে কি আমরা পৃথিবী দেখব না ?
অবশ্যই দেখব। এক পাসপোর্টে কখনোই আমাদের জীবন আটকে যাবে না।যেতে দেইনি আমি। ছেলেকে নিয়ে চষে বেড়াচ্ছি পুরো বাংলাদেশ সুযোগ পেলেই।ছেলেকে বলেছি ---- বাবা আগে নিজের দেশটাকে দেখ, চিন।তারপর বড় হলে পুরো পৃথিবী কে দেখবে চিনবে জানবে ।

এখন ছেলে জানে কেন তার পাসপোর্ট নেই। ছেলে এটাও জানে সব ডকুমেন্টস থাকার পরেও কেন তার মা পাসপোর্ট বানায়নি । ছেলে বলে ---- মা আঠারো বছর হলে তোমার পাসপোর্ট আমি বানিয়ে দিব।তারপর দুজনে মিলে ওয়র্ল্ড ট্যুর দিব দেখ । আমার জন্য তুমিও আটকে গেলে পচা সিস্টেমে ।

ছেলে বলে--- মা তুমি তো বলেছিলে কাট্টি তোমাদের দুজনের হয়েছে।আমার সাথে কিছু হয়নি।তাহলে লোকটা, বাবা বলতে কেমন যেন লাগে জানো মা ; কেন আমার সাথে যোগাযোগ করল না ? নানাভাই, নানু সবার তো মোবাইল আছে। ও ইচ্ছে করে এমন করেছে।ও আমাকেও চায় না। আমি সবই বুঝতে পারি। অনেক বই পড়ি না আমি?ডকুমেন্টারি ফিল্মও তো দেখি আমি। টিনেজার হব তো কয়েক বছর পরে।

ছেলে আরো বলে---- যার চেহারা আমার মনে নেই , যার জন্য আমার মা কে বিশ্রী বিশ্রী প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় অনেক জায়গায়, যার কারনে আমি মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়তে পারি না, নানা ভাই না থাকলে তো ঈদগাহে যেয়ে ঈদের নামাজটাও পড়া হতো না,
আমার circumcision এর অপারেশনের পরে যে আমাকে দেখতেও আসেনি, যে কখনো আমাকে চুল কাটতে সেলুনে নিয়ে যায়নি , যে কখনো আমার প্যারেন্টস মিটিংও আসেনি , যার জন্য আমি আমার মা কে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে দেখি আমি ঘুমিয়ে যাবার পরে আমাকে কোলে নিয়ে সেই লোকটা কখনোই আমার লিগ্যাল গার্ডিয়ান না। আচ্ছা মা এই রকম লোককে যারা বেবীদের সাথে যোগাযোগ করে না, বেবীদের মা কে কষ্ট দেয় ওদেরকে বেবীরা ডিভোর্স দিতে পারে না ? তুমি ফেসবুকে একটা পোস্ট লিখে দেখ তো। কোন লইয়ার আন্টি/ আংকেল দেখলে নিশ্চয়ই কমেন্ট করবেন।

গলার কাছে উঠে আসা শক্ত দলাটাকে কোন রকমে গিলে ফেলে টলমল চোখে নিজের অস্তিত্বের দিকে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে মনে মনে বললাম------
#KARMA_IS_A_BITCH..........
প্রকৃতি শোধ নিবেই। আজ নাহয় কাল।

Thanks for reading this Bangla Love Letter and I want you to comment below and share your feelings with us. Besides, please share this post with your nearest one.

3 comments: