Romantic Bangla Short Story for Lovers and Couples - Bangla Talkies

Romantic Bangla Short Story for Lovers and Couples - Bangla Talkies Stories

bangla short story

Top 2 Bangla Short Story (Bangla Valobashar Golpo) is given below. Read this and if you like this story, please share this with your friends.

Golpo 1
প্রেমপত্র

ক্লাসে ম্যাডাম ঢুকেই বলল, " নীলয় তুই নাকি সাদিয়াকে প্রেমপত্র দিছিস! সাদিয়া তোর প্রেমপত্র পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে।" ম্যাডামের কথা শুনে আমার কলিজা শুকিয়ে গেলো। সাদিয়া ম্যাডামের একমাত্র মেয়ে। ডাইনী মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। ম্যাডাম আবার বলল, "কিরে তুই উত্তর দিচ্ছিস না কেন"? ভয়ে আমার পায়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেলো। যেকোনো সময় প্যান্ট নষ্ট করে ফেলার মতন অবস্থা।

জীবনে কখনো ম্যাডামের ক্লাসে পড়া দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। ম্যাডাম এমনিতেই আমাকে দেখতে পারে না। তার উপর তার মেয়েকে প্রেমপত্র দিয়েছি, সেটা পড়ে বেচারি অজ্ঞান। ম্যাডাম আমার অবস্থা আজ কি করবে সেটা বুঝার বাকি রইলো না। মনে মনে বিপদের দোয়া পড়ছি আর নিজের বুকে ফুঁ দিচ্ছি। আল্লাহ এবারের মতন আমাকে বাঁচাও এরপর থেকে সাদিয়াকে নিজের বোনের চোখে দেখবো।

ম্যাডাম আস্তে আস্তে এগিয়ে এলো আমার দিকে।ক্লাসের সবাই সার্কাস দেখার অপেক্ষায় আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ম্যাডাম আমার কাছে এসে চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বলল, " পড়ে শোনা"। ম্যাডামের কথা শুনে এবার গলা পর্যন্ত শুকিয়ে কাঠ। আমি লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাডার তার ডাইনী কণ্ঠে চিৎকার করে উঠে বলল, "এক্ষণ পড়ে শোনা বলছি।"

আমি চিঠি হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম।

কলিজার বোঁটা সাদিয়া,

কেমন আছো তুমি? জানি তুমি ভালো নেই। তোমার ডাইনী মা ৪৫ মিনিটের ক্লাসে আমাদের যে অবস্থা করে! আল্লাহ জানে সারাদিন তোমার উপর ঐ ডাইনীটা কতো নির্যাতন চালায়। তুমি বললে আমি উনার বিরুদ্ধে মামলা করবো।

প্রথমদিন তোমাকে দেখেই আমার বুক কেঁপে উঠেছিল। সেই কাঁপুনিতে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের কিছু অংশ কেঁপে উঠে। অথচ মানুষজন বলে সেটা নাকি ভূমিকম্পের কারণে। কাউকে বিশ্বাস করাতেই পারিনি ওটা আমারি বুকের ভূমিকম্প।

তুমি জানো সারাদিন শুধু আমি তোমার কথা ভাবি। এতো ভাবনা যদি আমি গণিতের প্রতি দিতাম তাহলে আইনস্টাইনের মতন আমারো পকেটে দুইচারটা নোবেল থাকতো। কিন্তু দেখো আমি নোবেলের কথা চিন্তা না করে শুধু তোমার কথা চিন্তা করি। কিন্তু তোমার ডাইনী মায়ের জন্য চিন্তাটাও ঠিকমতন করতে পারি না। হঠাৎ করে তোমার মা আমার চিন্তার মধ্যে এসে আমাকে লাঠিপেটা করে আর বলে " ঐ তুই আমার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করিস কেন?"

সেইদিন স্বপ্নে দেখি তোমাকে নিয়ে চাঁদে যাচ্ছি হানিমুন করতে। রকেটে আমি আর তুমি লুকোচুরি খেলছি। এরমধ্যে কোথা থেকে যেন তোমার মা এসে রকেটের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে বলে, " এবার খেলা হবে।"


বিশ্বাস করো সাদিয়া, তোমার কথা মনে হইলেই এই হৃয়দের মধ্যে এনার্জি বাল্ব জ্বলে উঠে। তুমি আবার ভেবো না আমি ৩০০ টাকার এনার্জি বাল্ব ১০০ টাকায় কিনেছি শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য। 
আমি ফিলিপ্স বাল্বের কথা বলেছি। যা দিবে তোমাকে শতভাগ আলো ও দীর্ঘদিনের গ্যারান্টি।

সাদিয়া বিশ্বাস করো এই মনে!!...."

হঠাৎ ধপাস করে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ পেলাম। সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ম্যাডামকে তুলে ডাক্তার ডাকতে গেলাম।

ম্যাডামের জ্ঞান ফিরলে প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম আমাকে ডেকে পাঠালেন। উনি বললেন," তুমি নাকি ম্যাডামের মেয়ে সাদিয়াকে চিঠি দিয়েছ। কি ছিল সেই চিঠিতে দেখি চিঠিটা আমাকে দেও।" আমি ভয়ে ভয়ে প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম কে বললাম "আগে এখানে ডাক্তারকে ডাক দেন ম্যাডাম।"




Golpo 2

রিয়েল লাভ

মেয়েটা আগে অনেক খারাপ ছিলো। খারাপ মানে খুবই খারাপ। ফালতু মেয়ে একটা। রাত প্রায় দুটো তিনটা পর্যন্ত জেগে আমার সাথে ফোনে বকবক করতো। নিজে তো ঘুমাতোই না, এমনকি আমাকেও ঘুমাতে দিত না। প্রায় সারাদিনই চ্যাট হতো। আমি যদি বলতাম, 'এখন খাইতে যাবো, বাই', তাতে ও রেগে যেত। বলতো, 'আরেকটু কথা বলো প্লিজ। একদিন না খেলে কিছু হয় না।'

মোটকথা ওর জন্য আমার লাইফ টোটাল এলোমেলো হয়ে গেছিলো। ঠিকমতো খাওয়া, ঘুম, গোসল, লেখাপড়া কিচ্ছু হচ্ছিলো না। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছিলো।
.
আমি জানি সেটা ও সহ্য করতে পারেনি বলেই নিজেকে খুব কম সময়ের মধ্যে চেঞ্জ করে ফেলেছে। আমি জানি সেটা শুধুমাত্র আমার জন্য।
.
মাত্র অল্প কদিন পরের কথা। এখন সেই খারাপ মেয়ে এতোটা ভালো হয়ে গেছে দেখলে আশ্চর্য হই। হুট করে এতো ভালো একটা মানুষ কিভাবে হতে পারে? এখন সে রাত দশটা বাজতেই ঘুমিয়ে পড়ে। এমনকি তার এতো ঘুম আসে যে ফোনের ডাটা পর্যন্ত অফ করতে ভুলে যায়। এজন্য সারারাত অনলাইনে দেখায় তাকে। ফেসবুকের এই এক বাজে নিয়ম।

মানুষ না থাকলেও শুধুমাত্র ডাটা কানেশন অন থাকার জন্য একজনের নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলে। ফেসবুক তো আর বোঝেনা যে মানুষটা তখন গভীর ঘুমে।
.
এছাড়াও আমার অনেক বেশি খেয়াল রাখে। ফোন দিলে দুই মিনিট কথা বলতে না বলতেই বলে, 'তুমি এখন খাইতে যাও। গোসলে যাও। অনেক রাত হইছে তুমি ঘুমাও।'

এগুলা বলে জোর করে আমাকে দিয়ে ফোন রাখিয়ে ছাড়ে। আহা! আমার এতো ভালো লাগে, বলে বোঝানোর মতন না। মেয়েটা আমাকে কত্তো ভালোবাসে। কেয়ার নেয়। আমার কথা কত ভাবে!
.
এমনকি সে এখন আমার এতোই ভালো চায় যে নিজেকেই আমার যোগ্য ভাবে না আর। একজন প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীর মতন বলে, 'তুমি আমার চাইতে বেটার মেয়ে ডিজার্ভ করো।'
আমি আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করি যে, 'না তুমিই ঠিক আছো।'
কিন্তু ও রাজি হয় না। ও আমার জন্য জগতের বেস্ট মেয়েটাকেই চায়। জানি সেটা প্রচন্ড ভালোবাসে বলেই!
তারপর একদিন আমাকে অবাক করে দিয়ে নিজের লাইফের খুব বড় একটা সেক্রিফাইস করে ও। শুধু আমার জন্য। আমি যেটা কখনো ভাবতেও পারিনি।
.
আমার এক মেডিকেলে পড়ুয়া ছেলের সাথে গ্যাঞ্জাম ছিলো বিশেষ কিছু কারনে। ছেলেটাকে দুই চোখে দেখতে পারতাম না। ও গিয়ে তার সাথেই প্রেম করা শুরু করে। আমি বুঝতে পারি ও আসলে চাচ্ছে ছেলেটার লাইফটা এলোমেলো করে দিতে। আমার সাথে ছেলেটা যে খারাপ ব্যবহার করেছে তার প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। কিন্তু ঐ ছেলে যাতে কোনোভাবে টের না পায় যে মেয়ে আসলে আমাকে ভালোবাসে এজন্য সিকিউরিটি হিসাবে আমাকে ব্লক করে দিয়েছে।

আমার ফোনও ধরেনা। আমি বন্ধুর নাম্বার থেকে কল দিয়ে দেখি রাত দুটো তিনটে অব্দি ছেলেটার ফোন আর ওর ফোন দুটোই বিজি থাকে। ও ছেলেটাকে না ঘুমাতে দিয়ে কষ্ট দিচ্ছে। প্রতিশোধ নিচ্ছে। মনে পড়ে, আমি একবার বলেছিলাম, 'বিজ্ঞানীদের মতে বেশি রাত জাগলে অকাল মৃত্যুর ঝুকি বাড়ে'। সেই ঝুকি ও আমার শত্রুকে শিক্ষা দেয়ার জন্য নিজের কাধেও নিচ্ছে। আহা! কি ভীষণ সেক্রিফাইস। এটা বুঝি শুধু ভালোবাসার ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়! 
.
আমার নিজেকে অনেক সুখি মনে হয়। আমি বুঝতে পারি দুনিয়ার সবাই যে রিয়েল লাভের পেছনে ছুটে বেড়ায় এটাই সেই রিয়েল লাভ। এটাকেই বলে প্রকৃত ভালোবাসা!
.
বন্ধুরা আমাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করে। বলে আমি নাকি গাধা। আমি নাকি বোকার স্বর্গে বাস করছি। কিন্তু আমি বুঝতে পারি ওরা আসলে জেলাস। নিজেরা কখনো এরকম রিয়েল লাভ পায়নি বলেই আমাকে হিংসা করছে। আমি সব বুঝি। ওদের গার্লফ্রেন্ডরা ওদের দিয়ে গিফট কেনায়, ওদের টাকায় রেস্টুরেন্টে খায় আর আমার গার্লফ্রেন্ড গিফট বা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য আমার শত্রুকে দিয়ে টাকা খরচ করায়। এটা ওদের সহ্য হয় না।

ওদের প্রেমভাগ্য তো আর আমার মত ভালো না। এজন্য কিছু না পেরে বোকার মত হাসাহাসি করে। আমার ভালোবাসা নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে, যার অধিকাংশই অশ্লীল। তবে আমি কিছু মনে করিনা। ওরা বড্ড অবুঝ। একদিন ওরা এই ভালোবাসার মর্ম বুঝতে পারবে বলে আশা করতে পারি শুধু।
.
তারপর একদিন আমার কথাই সত্যি হয়। সেই মেডিকেলের পোলা আমারে ফোন দিয়ে বলে, 'ভাই আমি স্যরি। যা হইছে ভুলে যান। আর আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন পারলে।'

আমি মনে মনে হাসি। কেমন শিক্ষা দিলো আমার প্রেমিকা, হুম? অবস্থা বেশি খারাপ? আহারে, বেচারা! মুখে বলি, 'ব্যাপার না, ইটস ওকে। আমি আগেই ভুলে গেছি সব।'
পোলা আমতা আমতা করে বলে, 'আমরা আগামী মাসের তের তারিখে বিয়ে করছি। দোয়া করবেন।'
.
আমার এক মুহুর্তের মধ্যে মনে কুচিন্তা জাগে। আমার রিয়েল লাভ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এক মুহুর্তের জন্য মনে হয়, তাহলে আমার ফ্রেন্ডরা কি সত্যি বলছিলো?

পরক্ষণেই বুঝতে পারি আমি ঐ ছেলেকে মুখে ক্ষমা করলেও আসলে মন থেকে ক্ষমা করতে পারিনি। আর মনের কথা আমার প্রেমিকা তো বুঝতে পারবেই। এজন্য ও ছেলেটাকে আরো শাস্তি দেয়ার জন্য বিয়েই করে ফেলতেছে। এইবার পোলা বুঝবে আসল মজা। হু হু! আমার সাথে বেয়াদবি।
.
আমি আরো শিওর হই যখন খবর পাই ওরা হানিমুনে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে যে শীত। বরফও পড়ে শুনেছি। পোলার একেবারে হালুয়া টাইট হয়ে যাবে এবার। হাহাহা!

Thanks for reading our stories. We think you all like this and stay tuned for the next stories.

2 comments: